নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তৎপরতা চালাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী সম্পূরক প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে একটি মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা ঠেকাতে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান।
রোহিঙ্গা সমস্যা জিয়াউর রহমানই সৃষ্টি করে গেছে উল্লেখ করে সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টিতে জিয়াউর রহমানের হাত রয়েছে, এ বিষয়ে কোনোই সন্দেহ নেই। ১৯৭৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাও সৃষ্টি করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আর ৭৮ ও ৭৯ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি করেন। কিন্তু আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে বিশ্বাস করি এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসী ও কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ মাটিতে থেকে কেউ বা কোনো দেশ বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা, সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে পারবে না। বাংলাদেশের মাটিকে সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনের সক্রিয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। শুধু ভারত ও চীনই নয়, মিয়ানমারের সঙ্গে বর্ডার সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন দেশগুলোর (থাইল্যান্ড, লাউস) সঙ্গেও ইতোমধ্যে কথা বলেছি। চীন সফরে গিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে। চীনের প্রেসিডেন্টও কথা দিয়েছেন এ বিষয়ে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, চীনের পরে ভারত সফরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই ভালো সাড়া পেয়েছি। তারা চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান অনুধাবন করে ও মিয়ানমারের সাথে তাদের যে সর্ম্পক রয়েছে সেটা বজায় রেখেই রোহিঙ্গারা যাতে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে, সে ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চেয়েছিল। রোহিঙ্গারা যাবে কিন্তু হঠাৎ করে এর মধ্যে তারা নিরাপত্তার অজুহাতে বেঁকে বসল। রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, তারা নাকি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের নিয়ে যাওয়া এখন সম্পূর্ণই মিয়ানমার সরকারের ওপর। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো উদ্যোগ নিয়েছে এবং আলোচনাও চলছে।
ভারত ও চীন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওডি/এমআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড