নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলি এলাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই সন্তানের পর বাবা মো. জাবেদও (৩৫) মারা গেলেন। এই নিয়ে এই অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হলো। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছে মা শিউলি আক্তার (২৫)।
সোমবার (২৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩ টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ভর্তি জাবেদের। প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৩ জুলাই কসাইটুলি এলাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে মো. জাবেদ (৩৫), তার স্ত্রী শিউলি আক্তার (২৫), মেয়ে জান্নাত (৪) ও ছেলে মইনুর (২) দগ্ধ হন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনার পর মইনুরকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। ২৬ জুলাই মারা যায় জান্নাত।
আরও পড়ুন : কাল থেকে পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে দগ্ধ পরিবারটিকে নিয়ে আসে স্বজনরা। তাদের এক সন্তান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বাকি তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে মেয়ে ও বাবা মারা গেলেন। মা এখনও ভর্তি রয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, জান্নাতের শরীরের ৬০ শতাংশ, তার মায়ের ১৭ শতাংশ ও বাবার ৩৭ শতাংশ দগ্ধ ছিলেন। তাদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কেউই আশঙ্কামুক্ত ছিলেন না।
জাবেদের ফুপু শিউলি বেগম জানিয়েছেন, বংশালের কসাইটুলী দ্বিতীয় তলা ভবনের নিচতলার বাসায় ২৩ জুলাই ভোরে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লাগে। তারা সংবাদ শুনে বাসায় আসেন। পরিবারটির সবাই ঘুমিয়ে ছিল।
পরিবারটির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইফিতা গ্রামে। জাবেদ পুরান ঢাকায় ব্যাগের ব্যবসা করতেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড