• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘মায়াবতী’-এর সপ্তম পর্ব

ধারাবাহিক উপন্যাস : মায়াবতী

  রিফাত হোসেন

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:১৫
গল্প
ছবি : প্রতীকী

নিশুর কয়েদি জীবন প্রায় শেষের দিকে। হয়তো আর কয়েকটা দিন পরই মুক্তি পাবে এই কয়েদি নামক যন্ত্রণা থেকে। তবে প্রথমে এটা যন্ত্রণার হলেও এখন নিশু কয়েদি নামে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

এভাবে একটি একটি করে মুহূর্ত পার হচ্ছে। সেই সাথে নিশুর মুক্তি পাওয়ার দিন-ও এগিয়ে আসছে। অন্যান্য কয়েদিদের সাথে থেকেই বাকি দিনগুলো কেটে গেল নিশুর। এবার শুধু মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষা। সারাদিনে পরিশ্রম এর পর আবারও সেই শক্ত মেঝেতে শুয়ে পড়ল নিশু। তখন কেবল সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হতে যাচ্ছিল। জেলার সাহেব তখন নিশুর কাছে এসে বলল, ‘আগামীকাল তোর মুক্তি নিশু। কালকে সকালেই তোকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

নিশু প্রতিউত্তরে কিছু না বলে শুধুমাত্র মৃদু হাসি দিলো। নিশুর পাশে থাকা কয়েদিরা নিশুর মুক্তির কথা জানার পর খুশি হলেও ওদের মনের ভিতর কষ্ট। সবাই কেমন যেন আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছে মুহূর্তের মধ্যেই। মুখে কিছু না বললেও ওদের নির্বাক দৃষ্টি দেখে স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে নিশু। তবে ব্যাপারটা আর ঘোলাটে করল না ও। কারণ এটা স্বাভাবিক। এতদিন একসাথে থাকার পর একে অপরের প্রতি মায়া জন্মানোটা এলাহি কিছু নয়।

নিয়ন অনুযায়ী পরেরদিন সকালেই নিশুর মুক্তি হয়ে গেল। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়েয়ে বাইরে বেরিয়ে খোলা আকাশের নিচে বুক ভরে নিশ্বাস নিলো ও। কয়েদি জীবন আর স্বাধীন জীবনের মধ্যেকার পার্থক্য খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে ও। সেজন্যই আজ নিজেকে অদ্ভুতভাবে আবিষ্কার করল।

কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ফুটপাতের রাস্তা ধরে হাঁটতে লাগল৷ পকেটে টাকা নেই। একমাত্র মায়া ছাড়া ওর কাছের মানুষ বলতে কেউ নেই৷ কিন্তু মায়া কোথায় এখন? নিশ্চয় গ্রামে। তাহলে ওর সাথে একবারের জন্য-ও দেখা কিংবা কথা বলতে এলো না কেন? ও কী কোনো বিপদে আছে? নাকি ইচ্ছে করেই দেখা করতে আসেনি। কিন্তু কেন? অপরাধবোধ কিংবা নিশুর প্রতি ঘৃণা। নাকি অন্য কোনো কারণ?

এইরকম নানানরকম প্রশ্ন নিশুর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে৷ কিন্তু যুক্তিসঙ্গত কোনো উত্তরই পাচ্ছে না ও। অবশ্য পাওয়ার কথা-ও নয়। কারণ এইসব প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র মায়া জানে৷ কিন্তু সে এখন নেই।

হাঁটতে হাঁটতে সেই আগের গাড়িটায় ফিরে গেল নিশু। বাড়িতে গিয়ে দেখে সেখানে অন্য মানুষজন থাকে। নিশু এখানে মায়াকে আশা-ও করেনি অবশ্য। কারণ ওর ধারণা মায়া নিজের বাড়িতেই আছে এখন৷ কিন্তু টাকা! গ্রামের বাড়িতে গেলে তো অবশ্যই বেশ কিছু টাকা প্রয়োজন। নিশু কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎ বাড়িওয়ালার ঘরের সামনে চলে গেল। আশেপাশের সবকিছুই নির্জন এখন।

দুপুর হয়ে গেছে। কেউ কেউ কাজে আছে। আবার কেউ কেউ বেঘোরে ঘুমোচ্ছে রৌদ্রময় উষ্ণ দুপুরে। নিশুর চোখেমুখে ক্লান্তি আর ক্ষুদার্তের ছাপ। কিন্তু সেটাকে উপেক্ষা করে বাড়িওয়ালার দরজার টোকা মারল। প্রথম কয়েকবার টোকা মারার পরেও কেউ দরজা খুলল না। এবার দরজায় টোকা মারার সাথে সাথে জোরে জোরে ডাকতে লাগল নিশু৷ কিছুক্ষণ পরেই সেই পরিচিত এক কর্কশ কণ্ঠে ভিতর থেকে একজন বলল, ‘কোন হারামজাদারে এই ভর দুপুরে ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলো।’

নিশু মৃদু হাসি দিলো শুধু। লোকটা ভিতর থেকে আবারও বলল, ‘কথা বলছিস না কেন? আমার সাথে ফাজলামি হচ্ছে। দাঁড়া, তোর ব্যবস্থা করছি আমি।’

নিশু তবুও কিছু বলল না৷ একটু পর একজন বয়স্ক লোক এসে দরজা খুলে দিয়ে নিশুর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। নিশু বলল, ‘কেমন আছ কাকা?’

লোকটা সেভাবেই তাকিয়ে থেকে বলল, ‘কে তুই? আর এখানে কী করছিস? তোকে তো আমি চিনতে পারছি না।’

নিশু শব্দ করে হেসে উঠল লোকটার কথা শুনে৷ লোকটা আরো তীক্ষ্ণ এবং আরো কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকালো নিশুর দিকে। কিছুটা হাসি থামিয়ে নিশু বলল, ‘শুধুমাত্র মুখে কিছু দাড়ি আর চুলগুলো বড় হয়ে গেছে বলে আমাকে চিনতেই পারছ না কাকা। অথচ একদিন আমিই তোমার যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। মনে আছে, মা মারা যাওয়ার পর বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় তুমি আমাকে বের করে দিয়েছিলে। এরপর আমি আবার সাথে মায়া নামের একটা মেয়েকে নিয়ে তোমার বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে এলাম।’

লোকটা কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিশুর দিকে এগিয়ে গেল। তখন চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে নিশু৷ হঠাৎ লোকটা নিশুর কাধে হাত দিয়ে বলল, ‘তুই সেই নিশু! যে চারবছর আগে মায়া নামের মেয়েটিকে সাথে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। এরপর আর ফিরে আসেনি।’

নিশু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো লোকটার কথায়। লোকটা এক গাল হেসে দিয়ে বলল, ‘খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম যখন অনেকদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও তোরা ফিরে আসিননি। ভেবেছিলাম হয়তো কোনো সমস্যার আছিস। কিন্তু সঠিক করে কোনো খবর পাচ্ছিলাম না তোদের। এরপর প্রায় চারবছর পর তোকে পেলাম। কিন্তু কোথায় ছিলিস এতদিন? আর মায়া কোথায়?’

নিশু লোকটাকে হাত জোর করে বলল, ‘সব বলব তোমাকে। তবে এখন নয়। আর মায়া আপু কোথায়, তা জানি না আমি। এই চারবছরে আমাদের পুরো জীবনটাই পাল্টে গেছে। মায়া আপুকে হারিয়ে ফেলেছি আমি। তবে আমার মনে হয় তিনি নিজের গ্রামের বাড়িতেই আছে।’

- আমি তোর কোনো কথা বুঝতে পারছি না। একবার বলছিস মায়াকে হারিয়ে ফেলেছিস তুই। আবার বলছিস মায়া নিজের গ্রামেই আছে। মায়া যখন নিজের গ্রামেই আছে, তাহলে এতদিন যাসনি কেন? তাছাড়া তুই-ও তো মায়ার সাথে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলি। তাহলে কী এমন হলো? যে তোরা আলাদা হয়ে গেলি।’

নিশু এবার লোকটার হাত ধরে করুণ কণ্ঠে বলল, ‘ফিরে এসে সব বলব আমি। কিন্তু এখন এতকিছু জিজ্ঞেস কোরো না দয়া করে। এখন শুধু আমাকে কিছু টাকা দাও। কথা দিচ্ছি, ফিরে এসে যেকোনো একটা কাজ করে তোমার টাকা ফিরিয়ে দিবো।’

লোকটা নিশুর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ঘরের ভিতরে চলে গেল আবার। অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে রইল নিশু। কিছুক্ষণ পর লোকটা হাতে কিছু টাকা নিয়ে এসে নিশুকে দিয়ে বলল, ‘এই নে টাকা। আর খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আছিস।’

নিশু আর এক মুহূর্ত-ও অপেক্ষা করল না। টাকাগুলো নিয়ে বেরিয়ে এলো সেখান থেকে। প্রথমেই গেল মায়ের কবরস্থানে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থেকে বিকেলের দিকে বাস স্ট্যাণ্ডের দিকে রওয়ানা দিলো ও। বাস স্ট্যাণ্ডে গিয়ে টিকিট কেটে নিলো। এরপর টিকিট কাউন্টারে থাকা লোকটাকে উদ্দেশ্য করে বলল - " বাস কখন ছাড়বে?"

- কিছুক্ষণ আগেই চলে গেছে একটা৷ সন্ধ্যার পর পরবর্তী বাস ছাড়বে।

নিশু আর কিছু না বলে একটা বেঞ্চে বসে পড়ল। প্রচণ্ড ক্ষিধে পেলেও খেতে ইচ্ছে করছে না নিশুর। পেটে হাত দিয়ে বারবার শুধু কথাগুলো ভাবছে, ‘মায়া আপু আমার সাথে দেখা করতে আসেনি কেন? কী হয়েছে তার? কেনই-বা আমার আড়ালে থেকে গেল গত চারবছর?’

এইসব ভাবতে গিয়ে নিশুর মাথায় যন্ত্রণা হতে শুরু করল। তাই মাথাটা চেপে ধরেই বাস আসার অপেক্ষায় বসে রইল বেঞ্চিতে।

কাউন্টারে থাকা লোকটার কথানুযায়ী ঠিক সন্ধ্যার পরই বাস চল এলো। নিশু ওঠে পড়ল বাসে।

ভোরের দিকে মায়াদের গ্রামে গিয়ে পৌঁছালো নিশু। সূর্য তখনো উঠেনি। সারারাত ঘুমোতে না পারায় এখন ভালো করে তাকাতে পারছে না নিশু। ক্লান্ত শরীরে সামনে যেন এগোতেই পারছে না। চিন্তা আর ভয় কাবু করে রেখেছে নিশুকে। খালি পেটে ও ঢলে পড়ে যাচ্ছে। ছোট্ট একটা দোকানের বেঞ্চিতে বসে পড়ল নিশু। একসময় অসহ্যকর যন্ত্রণা আর সহ্য করতে না পেরে বেঞ্চিতে শরীরটা এলিয়ে দিলো।

এভাবে কতক্ষণ কেটে গেছে, তা জানে না নিশু। হঠাৎ কপালে কারোর ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে লাফ দিয়ে শোয়া থেকে দাঁড়িয়ে গেল নিশু। ওর সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটার দুই চোখে অজস্র জল ঝর্নার মতো বেয়ে পড়ছে। মেয়েটার দিকে আধোঘুমে তাকিয়ে আছে নিশু। বুকটা চিনচিন ব্যথা করছে ওর। কী করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। শুধু পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়েই আছে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার দিকে। হঠাৎ নিজের অজান্তেই নিশুর হাত মেয়েটির দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। মেয়েটির চোখ দিয়ে বেয়ে পড়া জল মুছে দিলো নিশু। সাথে সাথে নিশুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল মেয়েটি। নিশু-ও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল ওকে। দু'জনের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু সেদিকে কারোরই খেয়াল নেই। একে অপরকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রেখেছে ওরা। যেন একটু ছাড়া পেলেই দূরে কোথাও পালিয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পর নিশু অস্ফুটস্বরে বলল, ‘অরিন।’

অরিন মাথা তুলে করুণ দৃষ্টিতে তাকালো নিশুর চোখের দিকে। নিশু কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। অরিন উদ্ভ্রান্তের মতো নিশুর কপালে, গালে, ঠোঁটে চুমু দিতে লাগল৷ অস্থির হয়ে চুমুতে ভরিয়ে দিলো নিশু মুখ। নিশুর পুরো শরীর কাঁপছে। সেই সাথে কিছুট ভয়। অরিনকে এতটা উদ্বিগ্ন আগে কখনোই দেখেনি নিশু। অরিনকে জড়িয়ে ধরে রেখে শান্ত করার চেষ্টা করছে নিশু৷ কিন্তু অরিন কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। পাগলের মতো ছটফট করছে। যেন নিশুর কয়েদি জীবনের সাথে সাথে চার বছরের চাপা পড়ে যাওয়া অরিনের ভালোবাসা-ও আজ মুক্তি পেয়েছে।

অরিন নিশুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলল, ‘কাল আপনি ছাড়া পেয়েছেন। আজ এলেন কেন? আপনি জানেন কাল সারাদিন আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। ভেবেছিলাম আপনি কালকেই আসবেন। কিন্তু সারাদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও আপনি আসেননি। সেজন্যই আজ খুব সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম ঢাকা যাবো বলে। আপনি এমন কেন? আমার কথা কী একটুও ভাবেননি? আমি যে চারটা বছর শুধু আপনার উপস্থিতির অপেক্ষায় ছিলাম। গতকাল আমার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছিল। কিন্তু না! আপনি গতকাল আসেননি। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম আমি। সারাদিন, সারারাত কান্না করেছি শুধু।’

অরিনের কণ্ঠের প্রতিটি শব্দ নিশুকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছিল। কিন্তু কী বলবে ও? অরিনকে দেখে যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে গত কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই।

অরিন আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হলো। নিশু বলল, ‘আপনি কীভাবে জানলেন আমি গতকাল ছাড়া পেয়েছি?’

অরিন নিজের চোখের জল মুছতে মুছতে বলল, ‘বাড়িতে চলুন আগে। এরপর সব জানতে পারবেন। এই চার বছর আমাদের মাঝেও অনেক কিছুই হয়ে গেছে, যা আপনি জানেন না।’

নিশু কৌতূহলী কণ্ঠে বলল, ‘মানে? আর মায়া আপু কোথায়? আমার সাথে একদিনও দেখা করতে যায়নি সে। আপনারাও কেউ জাননি। আমিও তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, যখন দেখেছি অন্য কয়েদিদের প্রিয়জন দেখা করতে এসেছে ঠিকই। কিন্তু আমার সাথে দেখা করার জন্য কেউ আসেনি।’

অরিনের বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে। বারবার ডুকরে কেঁদে উঠছে ও। তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করে বলল, ‘বাড়িতে চলুন প্লিজ। সবটা জানার পর হয়তো আপনি নিজেকে সামলাতে পারব না।’

নিশু কিছু না বলে অরিনের সাথে যেতে শুরু করল। ভয়টা ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে৷ ও ভাবছে, কী এমন ঘটতে পারে? যার জন্য আমি নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলব। কতটা যন্ত্রণাদায়ক সেই সত্যিটা? আমার কয়েদি জীবনের থেকেও কী বেশি ভয়ঙ্কর সেই কথাটা?"

(চলবে...)

‘মায়াবতী’-এর ৬ষ্ঠ পর্ব- ধারাবাহিক উপন্যাস : মায়াবতী

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড