• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আমার চোখে মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয় (পর্ব- ৫)

আমার মনে হয় ওই প্রচ্ছদটাই আমার চোখে হিমালয়

  অধিকার ডেস্ক    ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫০

উপন্যাস প্রকাশন
ছবি : সম্পাদিত

একজন ব্যতিক্রমী মননের মানুষ মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়। ব্যতিক্রমী তার লেখার ধারা। কেউ কেউ মনে করে তিনি বিচিত্র রঙের গল্পকার। কারও কাছে সুচিন্তিত সমালোচক, আবার কারও কাছে সূক্ষ্ম বিশ্লেষক। অনেকের কাছে অবশ্য তিনি বর্তমান সময়ের সেরা ক্রিকেট বোদ্ধা হিসেবে পরিচিত।

সম্প্রতি তিনি পাঠক মহলে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করেছেন ‘নামহীন দামহীন’ শীর্ষক বিশ্ব ব্যতিক্রমী এক আত্মজীবনীর মাধ্যমে। আসলে কেমন মানুষ হিমালয়? কাছের মানুষদের চোখে তার ব্যক্তিত্ব কেমন? ব্যতিক্রমী চিন্তার এই মানুষটিকে নিয়ে লিখেছেন তার সঙ্গে কিংবা আশেপাশে থাকা কিছু নিকটবর্তী মানুষ। তাদের বলা কথাগুলো নিয়েই ‘উপন্যাস প্রকাশন’ এর উদ্যোগে ‘দৈনিক অধিকার’ এর ধারাবাহিক আয়োজন, ‘আমার চোখে মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়’

আজ প্রকাশিত হচ্ছে ধারাবাহিক এ আয়জনের ৫ম পর্ব। এ পর্বে লেখক হিমালয়কে নিয়ে লিখেছেন- ইটস ওকে বিডির কো ফাউন্ডার ‘সাফির আব্দুল্লাহ’

যে সকল কারণে হিমালয় ভাইরে আমার ভাল লাগে তার মধ্যে অন্যতম তার কিছু কথা। একদিন সে কেন জানি বলসিল আমারে- ভালো থাকা মানে নাকি ভুলে থাকা। তারও বহু পরে আরেকদিন সে বলল, যে অপেক্ষা করতে পারে সে সবকিছু পারে। এমন আশ্চর্য কথা আমারে কেউ তো কোনদিন বলে নাই। শুনবার সাথে সাথে আমার মনে হইসিল এই সকল কথা একদিন জীবনে মহাসত্য রূপে আবির্ভূত হবে। এবং তা সত্যিই হইসে।

একদিন রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখলাম যে আমি কুন্ডেরার বই কিনতে নীলক্ষেতে ঘুরতেসি কিন্তু পাইতেসি না। মনে পড়ে হিমালয় ভাই কুন্ডেরার একটা বই অনুবাদ করসিল। অস্তিত্বের অসহনীয় লঘুতা। আমরা এইসব নিয়ে হালকা হাসি ঠাট্টা করসিলাম। বইটার নাম ছিল মূলত আনবিয়ারেবল লাইটনেস অফ বিয়িং। খুবই সুন্দর কথা। এক্সেস্টিন্সিয়াল ক্রাইসিসে ভুগতেসি এগুলা কথা শুনতে কেমন ক্লিশে লাগে। ইন্টারমিডিয়েট এ পড়াকালীন সময়ে বললে মানা যাইত।

তো লাইটনেস কথার কোন বাংলা নাই আমি এইটা আগেও কোথায় জানি বলসিলাম। হালকা হইলেও অস্তিত্বের মধ্যে কেমন আলো আলো ভাব আছে। জটিল অন্ধকারে সেই আলোর জন্যে অপেক্ষা করা মানুষের কাজ? নাকি একদিন সে নিজেই আলোয় পরিণত হয়ে ছড়ায় যাইতে থাকবে? কিন্তু পূর্ববর্তী এইসব অপেক্ষা তো অসহনীয়। সময় নাকি সবচে বড় ইনভেস্টমেন্ট এই কথাও হিমালয় ভাইয়ের বলা। তার কথাগুলি আমার ভাল লাগে এই কারণে না যে এগুলি আমি বেদবাক্য হিসেবে নেই। বরং আমার নিজস্ব রেফারেন্স ফ্রেমে এদের রিকন্সেপ্টচুয়ালাইজ কিংবা ক্রমাগত প্রক্রিয়াজাত করতে থাকি এবং এরই মাধ্যমে হিমালয় ভাই কিংবা তার কথারে আমি পুনরুৎপাদন করি।

হিমালয় ভাই এর সাথে আমার দেখা হইছিল বুয়েটে ঢুকার পরে। সেই গল্প একটু বলি। সম্ভবত উদ্ভাসের ফেসবুক পেজ থেকে একটা নোট শেয়ার করা হইসিল । অন্যরকম গ্রুপের সেন্ট্রাল ব্রান্ডিং টিমের সাথে কাজ করবার জন্য কিছু তরুণ মুখ খোঁজা হইতেসে। ব্যাপারটা একটু অদ্ভুতই লাগছিল কারণ প্রচলিত ধারায় কোন ইন্টারভিউ বা সিভির আহ্বান করা হয় নাই। বরং 'আমি একজন চিন্তাশীল মানুষ' এই শিরোনামে একটা নিবন্ধ পাঠাইতে বলা হইসিল। আগ্রহী হয়েই আমি নিবন্ধ পাঠাইলাম। মূলত ওই লেখাটা বিভিন্ন সময়ে লেখা আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসের সংকলন। কোন ডেডলাইনের মধ্যে নতুন লেখা লিখতে ইচ্ছা করে না। যেমন এই যে এই লেখাটাও আগের বিভিন্ন লেখার জোড়াতালি। সেটা আমার মতে খারাপ কিছু না। কারণ দীর্ঘসময় ধরেই আমি হিমালয় ভাইরে দেখতেসি, এক বসায় তারে ক্যারেক্টারাইজ করে ফেলার চেয়ে এই প্রক্রিয়া ভাল মনে হইসে।

যাইহোক এই ওয়ার্কশপ সম্পর্কে কেন আগ্রহী হইলাম সেটা নিয়েও কিছু কথা বলা দরকার। অন্যরকম গ্রুপ হচ্ছে সোহাগ ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান। যেই সময়ের ঘটনা সেই সময় সোহাগ ভাইকে অনেক ইনফ্লুয়েন্সিয়াল লাগত। 'চাকরি করব না চাকরি দেব' – এইধরণের শ্লোগান বাংলাদেশে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সক্রিয় ভূমিকা তিনি রাখসিলেন। আমার সেই সময় মনে হইত অন্যরকম গ্রুপ একটা শক্তিশালী উদাহরণ হইতে পারে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্যে। পাই ল্যাবস, অন্যরকম ইলেক্ট্রনিক্স, রকমারি ডট কম, অন্যরকম এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট, টেকশপ এমন অনেকগুলো ইন্ডিভিজুয়াল ভেঞ্চার নিয়ে এই অন্যরকম গ্রুপ। কিন্তু পরবর্তী বছর গুলিতে আমরা ভীষণ বিট্রেয়ালের সম্মুখীন হই উদ্ভাস-অন্যরকম গ্রুপ থেকে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে আলাদা বৈশিষ্ট্য যেটা ছিল এই দর্শনের জায়গা সেটা ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়। ব্যবসাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া খারাপ না। কিন্তু অন্যরকম বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় কোথায় হারায়া গেসে সেটা সোহাগ ভাইরে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা হইত মাঝে মাঝে। এখন অবশ্য আর হয় না। ওই ফেজ কাটায়া উঠসি আমি।

কিন্তু ভীষণভাবে জড়িত থাকায় হিমালয় ভাইয়ের জন্য আমার মনে হয় সেটা কঠিন ছিল। এ কারণেই উনি এত বিশাল একটা বই লিখতে সমর্থ হইসিলেন। শক থেকে ওনার প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে গেসিল মেবি। নামহীন দামহীন সেই বইয়ের প্রচ্ছদ আমি করসিলাম। আমার মনে হয় ওই প্রচ্ছদটাই আমার চোখে হিমালয়। সংখ্যা পার্সোনালিটি আর বাস্তবতা মিলেমিশে অস্তিত্বে একাকার, ঘুরপাক খায় ওই ছবিতে - ধরা যাক ত্রিমাত্রিক কোন স্থানে কিংবা ক্যাফেটেরিয়ায়- ওই বইয়ের কভারটা মূলত এক ব্যক্তির প্রস্থচ্ছেদ যারে আমি চিনি কিংবা কোন পরিচিত সময়ের রিয়েলাইজেশন। যাইহোক আমার মনে হয় হিমালয় ভাইরেও সন্দেহ করা উচিত। আমি যেই স্ট্যাটাস থেকে এই লেখার কিছু অংশ নিসি, অন্যরকম গ্রুপের গুণগান সমৃদ্ধ সেই স্ট্যাটাস দিতে উনিই বাধ্য করসিলেন- প্রাথমিক শর্ট লিস্টে আমরা যারা আসছিলাম তাদের সবাইকে । উনি হয়ত মনে করসিলেন এর মাধ্যমে উনি যেই কোম্পানিতে চাকুরি করেন সেই কোম্পানির সম্মান দিকে দিকে ছড়ায় পড়বে। নাকি কে জানে?

হিমালয়

বাঁ'য়ে সাফির আব্দুল্লাহ, ডানে মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়

আমাদেরকে অন্যরকম গ্রুপের অফিসে একটা ওয়ার্কশপে ডাকা হইসিল। পরে শুনসিলাম যে মোট ৯৭ জন লেখা পাঠাইসিল এবং এদের মধ্য থেকে মোটামুটি ২৩ জন ওয়ার্কশপে আসবার সুযোগ পাইসি। ওয়ার্কশপটা ছিল খানিকটা রিয়ালিটি শো ঘরানার। ৭ দিন ধরে নানা রকম টাস্কের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের জরিপ করা হইসিল। কে কতোটা ক্রিয়েটিভ, কার ধৈর্য কতটুকু, টিমের সাথে কো-অপারেট করতে পারে কে কত বেশি ইত্যাদি। আর এর সাথে থাকত বিভিন্ন প্রকার হোম এসাইনমেন্ট। সেগুলি আমরাই একজন আরেকজনকে দিতাম।

'পৃথিবীর ইতিহাস থেকে কোন একটি ঘটনা মুছে দিতে হবে। কোন ঘটনা এবং কেন?' এই ধরণের এসাইনমেন্ট যেমন থাকত আবার তেমনি ‘মনিকা বেলুচ্চিকে তোমার কেন ভাল লাগে তার কারণ লিখ’- ধরণের এসাইনমেন্টও আসত। ব্যাপারটা হচ্ছে কে কত নিখুঁত ভাবে নিজের কাজ করতে পারে সেটাই দেখা হইতেসিল। আমার কাজগুলি ভাল্লাগত এই কারণে মেবি যে আমি ওয়ার্কশপজুড়ে প্রমাণ করতে চাইতাম যে আমি অনেক ভাল কাজ পারি।

ওয়ার্কশপে নানা প্রকার শাস্তির ব্যবস্থাও থাকত তবে সেই শাস্তির মধ্যেও নতুনত্ব ছিল। আমাদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে অন্যরকম গ্রুপের সাইনবোর্ড এর ডিজাইন, সি এস আর প্রোজেক্টের আইডিয়া, রকমারির প্রোফাইল তৈরি, ইনোভেটিভ গেমের আইডিয়া, ফিল্মের স্ক্রিপ্ট রেডি এইসব কাজ করতে হইসিল। সবকিছুই অনেক মজার কিন্তু এর মধ্যে দিয়েই হইতেসিল জাজমেন্ট।

আগের পর্ব পড়তে : রাগ বা অনুরাগ কিছুই হিমালয়কে কোনো লেখা পড়ার সময় আক্রান্ত করত না

আমাদের বুয়েটের ক্লাস শুরু হইসিল ভর্তির আট মাস পর, এই গ্রুপের সাথে কাটানো সেই সময়টা একটা দারুণ স্মৃতি আমার কাছে। কয়েকজন তো বেশ ভাল বন্ধু হয়ে গেসে আমার ওই সময় থেকে। যেমন আলিফ কিংবা সনেট ভাই।

যাইহোক এরপর কিছুদিন আমি অন্যরকম গ্রুপে কাজ করি। তার মাধ্যমে আমি হিমালয় ভাই এবং তার আপাত অর্থহীন কাজের মাধ্যমে তার চিন্তার কাছাকাছি আসি। আমার তারে ভীষণ পছন্দ হয়। অনেক বিষয় নিয়ে আমাদের গল্প হইত। একই কলেজ একই ভার্সিটি হওয়ার কারণে অভিজ্ঞতাগুলি রিলেটেবল ছিল। আমি ওনারে একদিন বললাম যে আমার ট্রামের নিচে পড়ে মরে যাইতে খুবি ইচ্ছা হয়। উনি বললেন ডিএসডব্লিউ স্যাররে বল যে বুয়েটে ট্রামের ব্যবস্থা করতে। পরে আমরা এই বিষয়ে একমত হইলাম যে তাহলে ট্রামের নিচে পড়তেও মানুষ কম্পিটিশন শুরু করবে। পোলাপান কোচিং এ জিজ্ঞেস করবে- ভাইয়া কত নম্বর পাইলে ট্রামের নিচে পড়া যায়?

আমার চিন্তাভাবনা তার সাথে মিলে কম। আমি ফিলিং পার্সন আর হিমালয় ভাই থিংকিং পার্সন। কিন্তু জীবনানন্দ বিষয়ে আমাদের মিল ছিল। এই লেখায় জীবনানন্দ সম্পর্ক উইঠা আসতে পারে। কারণ সেল্ফ ইজ এন আদার। কিংবা কে জানে আদার ইজ এ সেল্ফ। আমার কন্সাইন্স এইরকম ফ্লোটিং। ইন্টারমিডিয়েটএ থাকতে জীবনানন্দ দাশের কবিতা সমগ্রের একটা কবিতা পড়ে আমি শিহরিত হয়ে গেসিলাম। অন্য সকল কবিতার ভিড়ে সেই কবিতা নিতান্ত সাদামাটা। নাম কমলালেবু। পরের জন্মে একজন মুমূর্ষের টেবিলের পাশে থাকা কমলালেবু হইতে চান কবি। আমি জাস্ট তব্দা খেয়ে গেসিলাম। এত ইউজলেস একটা মানুষ নিজেরে কীভাবে মনে করতে পারে? কতটা কষ্ট হইলে একটা কমলালেবু হয়ে মানুষের কাজে লাগতে চায়? একটা ন্যারেটিভ কীভাবে এমন শক্তিশালী হইতে পারে? এইটা জীবনানন্দ দাশের পক্ষেই সম্ভব। বুঁদ হয়ে ছিলাম বইতে।

আসলে নটর ডেমের দিনগুলিতে আমি ভয়াবহ ফ্রাস্টেশনের ভিতরে ছিলাম। তখন খালি এই এক জীবনানন্দই পড়তাম সারাদিন। ‘বোধ’ কবিতা আর এই শব্দটা মাথার ভেতরে এমনভাবে ঢুকছে বলার ভাষা নাই। আমি অনেক ভাবছি জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে কিছু একটা লিখব। কিন্তু সেটা আর লেখা হয়ে উঠে নাই। আমার লেখার উপর আমার ভরসা কম।

যাইহোক হিমালয় ভাইয়ের থ্রুতেই লেখক শাহাদুজ্জামান এর একটা ইন্টারভিউ নেওয়া হইসিল একবার। তারপর ২০১৬ সালে বইমেলায় বের হইল শাহাদুজ্জামানের বই- একজন কমলালেবু! সাথে সাথে আমার ছ্যাঁত করে উঠল। ওই ইনসিগনিফিকেন্ট কবিতা আর কাউরেও স্পর্শ করসিল। সেই উপলক্ষে বইয়ের নামও তিনি রেখে দিলেন? তারপর ওই বই ব্যাগের ভেতরে করে আমি গেলাম সেন্টমার্টিন। যাত্রাপথে পড়ব বলে। ট্যুরিস্ট পুলিশ ব্যাগ চেক করে আমারে বলে- কমলালেবু আবার একজন হয় কেমন করে? এইটা আমার জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কখনই ভোলা যাবে না। যাই হোক, শাহাদুজ্জামান একুশে পদক পেয়ে গেলেন। আমরা ওনাকে বুয়েটে আনার চেষ্টা করলাম। উনি আসলেন। বুয়েটে হয়ে গেল শাহাদুজ্জামানের সাথে আরেকটি বিহ্বল বিকেল। আমরা আবৃত্তি শুনলাম আট বছর আগের একদিন। আমি ওই প্রোগ্রামে লেখককে নিয়ে সামান্য ইন্ট্রো দিলাম। লেখক পছন্দও করলেন। গল্প করলেন জীবনানন্দকে নিয়ে। ওনার রিয়েলাইজেশন নিয়ে। তারপর সেই সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় অদ্ভুত ধরণের অনুভূতি হইল। আমার মনে হইল আমার জীবনে অতিশয় সুন্দর কিছু ঘটনা ঘটসে যেগুলারে আমি এপ্রেশিয়েট করি নাই। হতে পারে এইসব অতিতুচ্ছ কোইন্সিডেন্স। কিন্তু এইগুলা ঘটনাই মনে থাকে। আর জীবনরেও লাগে আমার মিরাকলের মতন।

প্রিয় মানুষগুলি তৈরি করে প্রিয় কিছু মুহূর্ত। আবার কখনো কখনো কোন কারণ ছাড়াই কেমন জানি লাগে। সেইটা কী এই কারণে যে জীবনানন্দ দাশরে নিয়ে আমার আর কখনো লেখা হইল না। নাকি অন্য কোনকিছু। কমলালেবু কিংবা জীবনানন্দ হিমালয় ভাইয়েরও একধরণের অবসেশন। ওনার মতে আমি যেই ধরণের লেখা লিখি সেগুলি লিখতে খুব একটা প্রতিভা লাগে না। আর আমার চিন্তাভাবনাও হরাইজন্টাল। আমি এইসব মাইনা নেই। আমার কখনো ওনার ভাষায় ভার্টিক্যাল হইতে ইচ্ছা করে নাই।

কিন্তু আমার প্রায়শ মইরা যাইতে ইচ্ছা হয়। সেই মইরা যাওয়ার প্রবণতা থেকে উৎসারিত হয় কতিপয় লেখালেখি। এইসব নিয়ে হিমালয় ভাই আমারে খোঁচা দেয়। আমি কেন এখনও মরি না ইত্যাদি। আমিও অন্য কোন বিষয়ে ওনারে খোঁচা দেই।

এই তো। এইভাবে চলতে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড