এই ইদে হজমের সমস্যা এড়াতে যা খাবেন

ইদ-উল-ফিতর বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের অন্যতম উৎসব। এই দিনটি পবিত্র রমজান মাসের শেষ এবং শাওয়াল মাসের সূচনা করে। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখা হয় এবং এটি মুসলমানদের জন্য পবিত্রতম মাস। পুরো রোজার মাস সংযমের পরে আসে ইদের দিন। আর ইদ উৎসব মানেই অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি সুস্বাদু সব খাবার।

ইদে ঠিক কীভাবে খাবেন ইদ-উল-ফিতর একদিন হলেও সাধারণত দুই থেকে তিনদিনের জন্য পালন করা হয়। নতুন পোশাক পরে আত্মীয়-পরিজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া, মজার সব খাবার খাওয়া- একদিনে কি হয়! প্রতিবেশী ও আশেপাশের দরিদ্রদেরও এই সময়ে খাবার দেয়া হয়। পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খাবার উপভোগ করেন। তবে এক মাস রোজা রাখার পরে আমাদের দেহ আসলে রোজার সময়কার খাদ্যের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। ঈদের সময় অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে পেটে ফোলাভাব এবং অন্যান্য হজমেজনিত সমস্যা হতে পারে। হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য ঈদেও তাই খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

এক গ্লাস ফলের রস ইদের দিনের খাবার হিসেবে প্রথমেই তেল-মশলাযুতক্ত খাবারের বদলে এক গ্লাস তাজা ফলের রস পান করুন। দিনের শুরুতে এক গ্লাস হালকা গরম পানির সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়েও পান করতে পারেন। এটি আপনার হজমশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

ধীরে শুরু করুন মাটন কোরমা কিংবা বিরিয়ানির প্লেট নয়, শুরুটা হোক সহজ এবং হালকা খাবারের আইটেম দিয়ে। ইদের দিনের খাবারের পর্ব তাজা ফল এবং অল্প সালাদ দিয়ে শুরু করতে পারেন।

বিরতি দিয়ে অল্প করে খান সুস্বাদু সব খাবার দেখে লোভ সামলে রাখা দায়। তাই বলে একেবারে ভরপেট খাবেন না যেন। বরং বিরতি দিয়ে অল্প করে খান। প্লেটে বিভিন্নরকম খাবার অল্প করে নিন। এতে রুচিরও বদল হবে।

আরও পড়ুন : ইদের রেসিপি : গরুর মেজবানি মাংস

চিনি এড়িয়ে চলুন যদিও এটি সহজ নয়। কারণ ইদে পায়েস, সেমাই কিংবা পুডিং বলুন, চিনি ছাড়া সম্ভব নয়। মিষ্টির প্রতি যতই লোভ থাকুক, প্রথমেই তা না খেয়ে একটি খেজুর বা আস্ত ফল খান। পরে না হয় পায়েশ-পিঠা অল্প করে খেলেন।

জাঙ্ক ফুড বাদ দিন ইদের দিনটিতে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খান। শুধু একরকমের খাবার নয়, নানারকম খাবার পাতে তুলে নিন। যদি বিরিয়ানি খান, তবে সেই সঙ্গে সম পরিমাণ সালাদও নিন। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। জাঙ্ক ফুড এবং প্যাকেজজাত পণ্য বাদ দিন। মনে রাখবেন যে আপনার শরীর বর্তমানে রোজার রুটিনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে, তাই ঈদের দিনটিতে কোমল পানীয় বা প্যাকেটজাত খাবার হজমের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।