আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অতীত জীবনে বিভিন্ন রকম সাজে নিজের তোলা কিছু ছবি যেন তার চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই সব ছবিগুলো। কোনো ছবিতে কৃষ্ণাঙ্গের সাজে রয়েছেন, আবার কোনো ছবিতে তিনি বাদামি রঙয়ের চামড়ার মানুষের সাজে ছবি তুলেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তার তৃতীয় ছবিটি প্রকাশে চলে আসে। যার কারণে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
টুইটারে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে কানাডার এই উদারপন্থি নেতা ট্রুডো বলেছেন, যেসব মানুষ প্রতিদিন অসহিষ্ণুতা এবং বৈষম্যের শিকার হন, আমার এই কাজ তাদের দুঃখ দিয়েছে। এই কাজের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, এর দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার। এমনটা বলেই তিনি থেমে যান নি।
জাস্টিন ট্রুডো আরও লিখেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মুখে কালো রং মেখে এভাবে সাজা একেবারেই উচিত নয়। কারণ, এই কালো মুখের সঙ্গে একটা ইতিহাস জড়িয়ে আছে। আমার এটা আগেই বোঝা উচিত ছিল।
এভাবেই তিনি নিজের কর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এই বিতর্কিত ছবি কাণ্ডের পর টুইটারে নিজের প্রোফাইলের ছবিও বদলে ফেলেছেন তিনি। নতুন ছবিতে এক কৃষ্ণাঙ্গের সঙ্গে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে ট্রুডোকে। প্রথম ছবিটি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষমা চেয়েছিলেন ট্রুডো। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও ক্ষমা চাইতে হলো জাস্টিন ট্রুডোকে।
অক্টোবরেই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে কানাডায়। তাই এই বিতর্ককে বিরোধী দলের অস্ত্রে পরিণত হতে দিতে রাজি নন ট্রুডো। ইতোমধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা অ্যান্ড্রু শিয়ারের মন্তব্য করেছেন, জাস্টিন ট্রুডো যা করেছেন তা বর্ণবৈষম্য ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি শাসকের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। এখন দেখার বিষয়, নতুন এই বিতর্ক তার সমস্যা লম্বা করে কি না।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড