• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

'সু চির মতে রোহিঙ্গারা বার্মিজ নয়, বাংলাদেশি'

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৫
অং সান ‍সু চি ও ডেভিড ক্যামেরন
মিয়ানমার নেত্রী অং সান ‍সু চি ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। (ছবিসূত্র : আরটি)

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ব্যাপক নির্যাতনের মুখে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন বার্মিজ নয়, তারা বরং বাংলাদেশি। এমনটাই দাবি করেছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী দেশটির সেনা সমর্থিত নেত্রী অং সান ‍সু চি।

২০১৩ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে সু চি এ মন্তব্য করেছিলেন। সম্প্রতি নিজের স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা 'ফর দ্য রেকর্ড' বইয়ে ক্যামেরন নিজে বিষয়টি উল্লেখ করেন।

জার্মান গণমাধ্যম 'ডয়চে ভেলে'র খবরে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতার পর ২০১২ সালে প্রথম কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটি সফরে যান ক্যামেরন। মূলত এর পরই দেশটির অবস্থা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ইস্যুতে সু চির মন্তব্য নিজের স্মৃতিকথায় বিরক্তি হিসেবে প্রকাশ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

'ফর দ্য রেকর্ড' বইয়ে ক্যামেরন লিখেছেন, 'আমি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তখন তিনি শিগগিরই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দীর্ঘ ১৫ বছরের গৃহবন্দিত্ব থেকে সত্যিকার গণতন্ত্রের পথে যাত্রা, তার সেই দারুণ গল্প নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি।'

ক্যামেরন তার বইয়ে লিখেন, '২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে তিনি যখন লন্ডন সফরে আসেন, তখন সবার চোখ ছিল রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর। কেননা সে সময় রাখাইনের বৌদ্ধরা তাদের নিজ বাসস্থান থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল। এমনকি ধর্ষণ, হত্যা, জাতিগত নিধনসহ অনেক কিছুর কথাই আমরা শুনেত পাচ্ছিলাম।'

রোহিঙ্গা শরণার্থী

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী। (ছবিসূত্র : রয়টার্স)

সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, 'আমি তাকে বললাম, বিশ্ব সব কিছুই দেখছে। জবাবে তিনি বললেন, তারা আসলে বার্মিজ নয়। বরং বাংলাদেশি। এরপর ২০১৫ সালে তিনি দেশের রাষ্ট্রীয় নেতা হলেন; যার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকল।'

এ দিকে বিশ্লেষকদের মতে ২০১০ সালে প্রথম ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ক্যামেরন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে গণভোটের মাধ্যমে ব্রেক্সিটপন্থিদের জয়ের কারণে আচমকা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

অপর দিকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে বিচ্ছিন্ন হামলা হয়। মূলত এর জেরে অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসী দমনের নামে পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামো বদ্ধ সহিংসতা জোরালো অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন :- পশ্চিমবঙ্গে আমি থাকতে এনআরসি হবে না : মমতা

এ সময় হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো বেসামরিক পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এদের মধ্যে অনেকে আবার প্রতিবেশী দেশ ভারতেও আশ্রয় নেয়। বর্তমানে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড