• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বন্দি বিনিময় : রুশ-ইউক্রেন সম্পর্কে নতুন অধ্যায় রচনা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৫২
বন্দি বিনিময়
পরিবারের কাছে ফিরলেন রাশিয়া থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া ইউক্রেনের যুবক। (ছবিসূত্র : এনবিসি নিউজ)

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু করেছে পূর্ব ইউরোপের দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। যার অংশ হিসেবে দেশ দুটি ইতোমধ্যে ৩৫ জন করে বন্দিকে প্রাথমিকভাবে মুক্তি দিয়েছে। ২০১৭ সালে প্রক্রিয়াটি শুরু হলেও পারস্পরিক আস্থার অভাবে বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি এতদিন বিলম্বিত হয়।

কর্তৃপক্ষের বরাতে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম 'আল-জাজিরা' জানায়, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার মস্কো এবং ইউক্রেনের কিয়েভে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে মুক্ত বন্দিদের বহনকারী দুটি বিমান। এবারের এই বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত দেশ দুটি মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে সুসম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় রচিত হবে বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

এ দিকে প্রথম দফার এই বন্দি বিনিময়কে এরই মধ্যে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। মুক্তিপ্রাপ্তদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা প্রথম দফায় মুক্ত মানুষগুলোকে হাতে পেয়েছি। যে কারণে রুশ প্রশাসনের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ।'

তখন রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনের ভূখণ্ড ক্রিমিয়াকে পুনরুদ্ধারেরও অঙ্গীকার করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ক্রিমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে তিনি বলেছেন, 'এই ভয়াবহ সংঘাত শেষ করতে আমাদের সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। যার জন্য আমরা সর্বদাই প্রস্তুত।'

অপর দিকে নিজেদের বন্দি লোকগুলোকে হাতে পেয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে আমাদের এই বন্দি বিনিময় একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। এ জন্য ইউক্রেন প্রশাসনকে ধন্যবাদ।'

বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভঙ্গের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ইউক্রেন রাষ্ট্রের। যদিও রাশিয়া বরাবরই পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট এই দেশটিকে নিজেদের জন্য এক বিরাট হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। মূলত সেই উত্তেজনার কারণেই ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় মস্কো।

আরও পড়ুন :- ফের বিদেশি ট্যাংকার আটক করল ইরান

এ সময় রুশপন্থি সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সৃষ্ট সংঘাতে নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে। মূলত এর পর থেকেই রাশিয়াকে জি-৮ সম্মেলন থেকে বয়কট করে এর নাম জি-৭ রাখা হয়।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড