আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দাউ দাউ করে জ্বলছে পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত ব্রাজিলের আমাজন মহাবন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোরানো কর্তৃক দেশটির বনাঞ্চল বিভাগের প্রধানকে অপসারণের পর এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জ্বলছে চিরহরিৎ আমাজনের বিস্তীর্ণ এলাকা। ব্রাজিল স্পেস রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে এই নিয়ে ৭২, ৮৪৩ বার আগুন লেগেছে আমাজনের গভীর জঙ্গলে এবং ২০১৮ সালের তুলনায় এই বছর ৮৪ শতাংশ বেশি আগুন লাগার দৃশ্য দেখা গেছে। 'বিবিসি নিউজ' বিবিসির এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাজন বনের আগুন থেকে আসা কালো ধোঁয়ার কারণে ব্রাজিলের সাও পাওলো শহর অন্ধকারে ঢেকে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে আমাজনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাভাবিক হলেও গবাদিপশুর চারণভূমি সৃষ্টি করতে এর অনেক এলাকায় ইচ্ছা করেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় পরিবেশবিদদের ধারণা, এই আগুন প্রাকৃতিক কারণ নয়। আমাজনের এই আগুনের পিছনে রয়েছে মানুষের ষড়যন্ত্র। চাষ ও বাসের জমি পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন জঙ্গলের গাছ কাটা ও আগুন ধরানো শুরু করেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার চিরহরিৎ অরণ্য আমাজন পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের ২০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। তাই আমাজনকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। এছাড়াও এই বনাঞ্চলে প্রায় তিন মিলিয়ন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং এক মিলিয়ন আদিবাসীর বসবাস। তবে এই বছরের অগ্নিকাণ্ডে আমাজনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস হওয়াতে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনে প্রবল প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের আমাজোনাস, রন্ডোনিয়া, পারা ও মাতো গ্রোসো এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে দেখাচ্ছে, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে ধোঁয়া প্রায় ১৭০০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আমাজনের আগুনের ওপর নজর রাখছে নাসা। স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে আগুনের তীব্রতার ছবি পাঠাচ্ছে নাসার একাধিক স্যাটেলাইট।
ওডি/কেএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড