• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গেল ভারতের 'চন্দ্রযান-২' উৎক্ষেপণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ জুলাই ২০১৯, ১০:৪৪
ভারতের 'চন্দ্রযান-২'
ভারতের মহাকাশ যান 'চন্দ্রযান-২'। (ছবিসূত্র : ইন্ডিয়া টুডে)

উৎক্ষেপণের অল্প কিছুক্ষণ আগে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ে অভিযান শুরু করতে পারেনি ভারতের 'চন্দ্রযান-২'। সোমবার (১৫ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোর রাত ২টা ৫১ মিনিটে চাঁদের অদেখা অংশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও এর প্রায় ৫৬ মিনিট আগে স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ অভিযানটি পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

এ সময় উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন। পরে যদিও দেশটির স্পেস রিসার্চ সেন্টারের (ইসরো) পক্ষ থেকে জানানো হয়, উৎক্ষেপণের পরবর্তী তারিখ খুব শিগগিরই জানানো হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরো চাঁদে নতুন অভিযানের জন্য সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। যেখানে অভিযানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল 'চন্দ্রযান-২' নামে নতুন স্যাটেলাইট। যানটি চাঁদে অবতরণ করতে পারলে এটি হতো বিশ্বের চতুর্থ কোনো দেশের সফলভাবে চন্দ্র অভিযান। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন) সফলভাবে অভিযানটি সম্পন্ন করেছিল।

'বিবিসি নিউজে'র প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ন মহাকাশ কেন্দ্র (এসডিএসসি) থেকে ভোর রাত ২টো ৫১ মিনিটে অত্যন্ত শক্তিশালী, সর্বাধুনিক 'জিএসএলভি-মার্ক-৩' রকেটে চেপে 'চন্দ্রযান-২'এর যাত্রা করার কথা ছিল। যেখানে থাকবে একটি 'অরবিটার'; যা চাঁদের বিভিন্ন কক্ষপথে থেকে প্রদক্ষিণ করবে। তাছাড়া এতে আরও থাকবে একটি বিক্রম নামের ল্যান্ডর ও প্রজ্ঞান নামের একটি রোভারও। যা চন্দ্র পৃষ্ঠের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াবে।

চাঁদ

চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর দৃশ্য। (ছবিসূত্র : ইন্ডিয়া টুডে)

ইসরো জানায়, ১৫ কোটি ডলারে নির্মিত 'চন্দ্রযান-২' চাঁদ থেকে পানি, খনিজ ও পাথর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। উৎক্ষেপণের প্রায় দেড় মাস পর সেপ্টেম্বরে (৫ তারিখ গভীর রাত ও ৬ তারিখ ভোর রাতের মধ্যে) চাঁদের পিঠে পা ছোঁয়াবে ল্যান্ডর 'বিক্রম'। নামার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ল্যান্ডর থেকে বেরিয়ে আসবে খুবই ছোট একটি রোভার 'প্রজ্ঞান'। যার ওজন মাত্র ২০ কিলোগ্রাম। আর চন্দ্রযান-২-এর সার্বিক ওজন ৩ হাজার ৮৫০ কিলোগ্রাম। ল্যান্ডরটি নেমে আসার সময় চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারটি চাঁদের পিঠ (লুনার সারফেস) থেকে থাকবে মাত্র ১০০ কিলোমিটার ওপরে।

ভারতের 'চন্দ্রযান-২' পাঠানোর উদ্দেশ্য, চাঁদের পিঠের বালুকণায় মিশে রয়েছে কোন কোন মৌল ও খনিজ পদার্থ আর তা কী পরিমাণে রয়েছে তা জানা। সেই মৌল বা খনিজগুলো নিষ্কাশনের যোগ্য কি না, তা যাচাই করা। যে স্বপ্নটা প্রথম দেখেছিলেন ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম।

বিজ্ঞানীদের মতে, দক্ষিণ মেরুর দিকেই চাঁদের গভীরে এখনো বয়ে চলেছে পানির ধারা। উল্কাপাত বা অন্য কোনো মহাজাগতিক বস্তু আছড়ে পড়ায় সেখানে একটি বিশাল গর্ত (ক্রেটার) তৈরি হয়েছে। এর ফলে চাঁদের গভীরে মৌল বা খনিজ বা পানির খোঁজের কাজটা সহজতর হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন :- দক্ষিণ প্রান্তে চন্দ্রযান-২ : চাঁদের যে প্রান্তে আগে কেউ যায়নি

এর আগে ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন চাঁদের কক্ষপথে গিয়েছিল 'চন্দ্রযান-১'। চাঁদে পানির অন্যতম উপাদান হাইড্রক্সিল আয়নের খোঁজ দিয়েছিল যানটি।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড