• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জঙ্গীদের অর্থ জোগাতে আফগানিস্তানে পপি চাষ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০১ মে ২০১৮, ১০:৫৬

আফগানিস্তানে শত চেষ্টার পরও থামানো যাচ্ছেনা আফগান কৃষকদের পপি চাষের প্রবণতা। তুলনামূলক লাভ বেশি হওয়ায় তারা আফিম উৎপাদনে ব্যবহৃত পপি চাষেই বেশি আগ্রহী।

আফগানিস্তানের মাদক নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটির ৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গত বছর পপি চাষ হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানের পপি গাছ থেকেই বিশ্বের মোট হেরোইনের সিংহভাগ উৎপাদিত হয়। দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা, চোরাকারবারি ও তালেবান যোদ্ধাদের সহায়তায় আফগানিস্তানের কৃষকরা প্রতি বছর প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন হেরোইন বিশ্ব বাজারে সরবরাহ করে। পপি চাষে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র কান্দাহার প্রদেশ। হেলমান্দের পর এর অবস্থান।

৩৫ বছর বয়সী কৃষক মোহাম্মদ নাদির রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, গম বা অন্যান্য ফসল চাষ করলে তাদের যথেষ্ট লাভ হয় না। তার ক্ষেতে চাষ করা পপি থেকে আয় হবে ৩ হাজার ডলার। অথচ ওই একই জমিতে যদি তিনি গম চাষ করতেন তাহলে তার আয় হতো ১ হাজার ডলার কম। যদিও পপি চাষ করে পাওয়া টাকা তিনি একাই নিতে পারবেন না। জমি রক্ষা করার জন্য তালেবান জঙ্গি ও মাদক বিক্রির জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদেরকে ভাগ দিতে হবে। পাঁচ সন্তানের জনক নাদির অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না করায় তাকে পপি চাষ করতে হচ্ছে। যদি পপি চাষের ভালো কোনও বিকল্প সরকার দিতে পারে তাহলে পপি চাষের কোনও দরকার পড়বে না।

জাতিসংঘের হিসেব মতে আফগানিস্তানে বছরে ৩০০ কোটি ডলারের মাদক বিক্রি হয়। তালেবান জঙ্গিদের আয়ের সবচেয়ে বড় অংশগুলোর একটি আসে এই মাদক বাণিজ্য থেকে। ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে নজিরবিহীন পরিমাণে আফিম উৎপাদিত হয়েছে, যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৮৭ শতাংশ বেশি। পপি চাষ থেকে সরিয়ে আনতে আফগানিস্তানের সরকার কৃষকদের মধ্যে ১০ হাজার টন গমের বীজ ও ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার বিতরণ করেছিল।

আফগানিস্তানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আকবর রুস্তামি জানিয়েছেন, অনেক কৃষক বীজ সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত সেগুলো জমিতে রোপণ করেনি। তার ভাষ্য, ‘বেশি লাভের আশায় আমাদের নিষেধ অমান্য করে তারা পপি চাষ করছে।’

যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান মাদক উৎপাদনের কারখানাগুলোতে বিমান থেকে বোমা হামলা করেছে। পপি চাষ নিষিদ্ধ করার কার্যক্রম পরিচালনায় থাকা কর্মকর্তা কর্মকর্তা নাজিবুল্লাহ আহমাদি বলেছেন, ‘পপি চাষ বন্ধে আমাদের বিশেষ টাস্ক ফোর্স দরকার। আর নজরদারির জন্য দরকার হেলিকপ্টার।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড