আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন-ব্রিটেন দূত-বিতর্ক ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে, যা ঘিরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ও সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্পের মতে, ব্রিটেন দ্রুত নয়া প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে, এটাই ভাল ব্যাপার!
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক ই-মেইলে আমেরিকায় ব্রিটেনের দূত স্যার কিম ডারোশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, তাতে তার কিছুই বলার নেই বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
কিন্তু তারপর থেকে তাঁর আক্রমণের ধার বেড়েছে। এবার তিনি বলেছেন, 'আমেরিকায় যে পাগলা দূতকে পাঠিয়েছে ব্রিটেন, তাকে নিয়ে আমরা এতটুকু উৎসাহী নই। অত্যন্ত নির্বোধ একটা লোক।' যা শুনে ফের নিজের দূতের পাশ দাঁড়িয়েছেন থেরেসা। বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এর আগেও জানিয়েছিলেন, দূত ডারোশ যা বলেছেন, তাতে তার 'পূর্ণ সমর্থন' রয়েছে। ট্রাম্পের আক্রমণের মুখে ফের একই কথা বলেছেন তিনি।
ব্রিটেনের দূত কিম ডারোশ লন্ডনে গোপন কূটনৈতিক ই-মেইল পাঠিয়ে ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছিলেন, 'প্রেসিডেন্ট অযোগ্য ও অদক্ষ। অমর্যাদায় শেষ হবে ট্রাম্পের ক্যারিয়ার—কেব্ল-এও লিখে পাঠিয়েছেন কিম। এই ই-মেইল ফাঁস হয়ে যায় একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে। তারপর থেকে আমেরিকা-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চাপান-উতোর বেড়েছে।
এমনিতে তারা বন্ধু-দেশ হলেও দূতের মন্তব্য নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে মার্কিন প্রশাসনে। যার আঁচ থেকে বাঁচতে সম্পর্ক মেরামতির মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন। সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানিয়েছেন, ট্রাম্প সম্পর্কে ওই মতামত দূতের ব্যক্তিগত। তা ব্রিটিশ সরকারের মত নয়। তবে, যে ভাবে ই-মেইল ফাঁস হয়েছে, সে বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। এত ব্যাখ্যা সত্ত্বেও ট্রাম্প টুইটারে কিম-মে কে নিন্দার ঝড় বইয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, ব্রেক্সিট-মীমাংসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থেরেসা একেবারে গোলমাল পাকিয়ে ছেড়েছেন। থেরেসার বিদায়কে স্বাগত জানিয়ে এক ধাপ এগিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য, 'ব্রিটেন শীঘ্রই নয়া প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে, এটা সুখবর। ব্রিটেন এবং থেরেসা মে যেভাবে ব্রেক্সিট মীমাংসা চালিয়েছেন, বরাবরই তার সমালোচনা করেছি আমি। উনি আর ওর প্রতিনিধিরা কী ভীষণ জট পাকিয়েছেন গোটা বিষয়টি নিয়ে। আমি ওকে বলেছিলাম, কীভাবে বিষয়টা নিয়ে এগোতে হবে। কিন্তু উনি ওনার মতোই এগোলেন। কী বিপর্যয়!'
ট্রাম্প কিম সম্পর্কে বলেন, 'আমি ওই দূতকে চিনি না। শুনেছি, উনি একটি আস্ত নির্বোধ। ওর সঙ্গে আমরা আর কোনও কাজ করব না। ওঁকে বলে দিন, বিশ্বে আমেরিকার অর্থনীতি এবং সেনাবাহিনী সব চেয়ে সেরা। দু’টোই আরও উন্নত হচ্ছে।'
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড