আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্বাসন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক তদারকির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণের পর যাতে রোহিঙ্গারা সেখানে কোন শাস্তির মুখে না পড়ে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের তদারকি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
রবিবার (২৩ জুন) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির বলেন, শরণার্থীদের নির্বাসন পরিকল্পনায় যেহেতু রোহিঙ্গাদের মতামত নেয়া হয়নি সেহেতু এই তদারকির প্রয়োজন। 'তাদের মতামত বিবেচনা করা উচিত কারণ তারা রাখাইন রাজ্য ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে।'
থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৩৪তম আসিয়ান সম্মেলনে মিলিত হবার পর এই সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির বলেন, 'যদি তাদের প্রত্যার্পণ করা হয় তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই তদারকি করতে হবে যাতে রাখাইন রাজ্যে ও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা কোনও পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে না হয়।'
এই শীর্ষস্থানীয় সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত উদ্বেগগুলির মধ্যে একটি ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। মাহাথির বলেন, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোডো (জোকোভি) একমাত্র নেতা ছিলেন, যিনি শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বিষয়কে আমলে নিয়েছিলেন। 'তিনি (জোকোভি) শুধুমাত্র সেই বিষয়েই (রোহিঙ্গা) কথা বলেছেন। আমি অনেক কিছু নিয়েই কথা বললাম'।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানায় মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সম্মেলনে মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেতা অং সান সু চির সঙ্গে এই বিষয়ে তার কোন কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহাথির বলেন, ' বর্ণানুক্রমিক সাজানোর ব্যবস্থায়, তিনি আমার পাশেই বসেছিলেন। এমনকি আমরা খাওয়ার সময়ও পাশাপাশি বসা ছিলাম'। তবে, সম্মেলনে সু চি’র সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত কথোপকথন হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড