আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু রয়েছে। জাতিসংঘের এক নিয়মিত ব্রিফিং এ বৃহস্পতিবারের (১৬ মে) হামলার এই পরিণতির কথা জানানো হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরাসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, আহতদের মধ্যেও ১৬ শিশু রয়েছে।
সৌদি-আমিরাত জোটের বৃহস্পতিবারের বিমান হামলায় হতাহতের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন বলে ডুজারিক জানান।
ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিসা গ্রান্ডে সানায় জারিকৃত এক বিবৃতিতে বলেন, 'আমরা শোকার্ত পরিবারের কাছে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি এবং এমন দুঃখজনক ঘটনায় হতবাক। যুদ্ধ শেষ হওয়া কতটা জরুরি তার অনুস্মারক ছিল এই বিমান হামলা।
গ্রান্ডে বলেন, 'আন্তর্জাতিক মানবিক আইন স্পষ্ট। নাগরিকদের রক্ষায় সবকিছুই করতে হবে। এর কোনো ব্যতিক্রম নেই। এটি একটি আইন এবং সব কিছুর ওপরে সকল পক্ষের জন্য বেসামরিকদের রক্ষা করা একটা নৈতিক বাধ্যবাধকতা।'
হোদাইদাহ চুক্তি ডিসেম্বরে সুইডেনে পৌঁছানো সত্ত্বেও ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে, লোহিত সাগরের ৩টি বন্দর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ধ্বংসাত্মক অঞ্চলকে বেসামরিকীকরণের জন্য আংশিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি চুক্তিটি করা হয়েছিল।
হোদাইদাহ চুক্তির প্রথম পর্যায়টি আগের সপ্তাহেই শুরু হয়েছিল, যখন বিদ্রোহী হুথিরা প্রধান হোদাইদা বন্দর থেকে এবং রাস ইসা ও সালেফের দুটি ছোট বন্দর থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো দেশটিতে মানবিক সহযোগিতা ও ত্রাণ পৌঁছাতে এই বন্দরগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইয়েমেনি দল মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জর্ডানের আম্মানে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করে। ইয়েমেনের জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস এই আলোচনার পাশাপাশি চুক্তির বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে দলগুলোর সাথে যোগ দিয়েছেন।
সর্বশেষ আলোচনা শ্রমিকদের বেতন, বন্দরের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও সাধারণ অপারেটিং খরচসহ আর্থিক দিকগুলোর ওপর চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে করা হয়েছে বলে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো জানায়।
ওডি/এসএমএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড