• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় সেনাসহ নিহত ৫

  স্বাস্থ্য ডেস্ক

১৬ মে ২০১৯, ১৬:৩২
কাশ্মীর
ছবি : ফক্স নিউজ

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সেনা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে এক বেসামরিকসহ ৫ জন নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছে। ৩০ বছরের বিদ্রোহে এই রাজ্যে সর্বশেষ সহিংসতার ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার (১৬ মে)।

চলতি বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে উত্তেজনা বেড়েছে। ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাকিস্তান ভিত্তিক জৈ-ই-মোহাম্মদ (জেএম) জঙ্গি গোষ্ঠীর আত্মঘাতী বোমা হামলায় সে সময় কমপক্ষে ৪০ ভারতীয় আধা-সামরিক পুলিশ নিহত হয়েছিল।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই হামলার জবাব দেয়ার জন্য দেশটির সৈন্যদের 'বাঁধন মুক্ত' করে দিয়েছিলেন এবং কাশ্মীরের প্রতিটি গ্রামে প্রায় প্রতিদিনের অনুসন্ধান চালানোর পর থেকে প্রায়শই সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে, যাতে বেসামরিক নাগরিকরাও হতাহতের শিকার হয়। ক্রসফায়ারের ব্যাপারে অধিকার গোষ্ঠীরা সতর্ক করে আসছে।

বোমা হামলায় মোদির শক্ত প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানে অবস্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীটির ঘাঁটিতে একটি বিমান হামলা চালিয়েছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোদীর এমন প্রতিক্রিয়া দেশটির চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকারের জন্য একটা মাইলফলক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, দক্ষিণ কাশ্মীরের দালিপোরা গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া বন্দুকযুদ্ধে এক পাকিস্তানি কমান্ডারসহ ৩ জেএম জঙ্গি ও একজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়।

গ্রামবাসীরা বলেছিলেন, ৩২ বছর বয়সী রায়স আহমদ দার নামে একজন বেসামরিক নাগরিক ও এই বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে, ভারতীয় সৈন্যরা তাকে এমন একটি বাড়ি অনুসন্ধানের জন্য পাঠিয়েছিল, যেখানে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। এলাকাবাসীরা সেনা অনুসন্ধানে মানব ঢাল হিসেবে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহার সম্পর্কে আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছে।

জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলি চালালে দার নিহত হয় এবং সেনাবাহিনী তাকে অনুসন্ধানে পাঠিয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলে জানান পুলিশের একজন মুখপাত্র। সংঘর্ষের পর, গ্রামবাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপ করে এবং প্রতিক্রিয়ায় টিয়ারগাসে ছোঁড়া হয়েছিল। বেসামরিক দারের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্য হাইকোর্টের আইনজীবীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল।

কয়েক দশক ধরে চলা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে কাশ্মীর। পারমাণবিক সশস্ত্র প্রতিবেশীরা উভয়ই এটিকে পরিপূর্ণ স্থান বলে দাবি করে, তবে এটির বিভিন্ন অংশ তারা শাসন করে। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশদ্বয় স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তিনটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে দুটি এই হিমালয় অঞ্চলে এবং সর্বশেষ ফেব্রুয়ারির বোমা হামলার পরে তৃতীয়বার যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

ভারতবর্ষে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিরা, যাদের পাকিস্তান সমর্থিত বলে দাবি করা হয়, তারা ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে। পাকিস্তান বিদ্রোহীদের সমর্থনকে অস্বীকার করে আসছে।

কাশ্মীরের প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক দল, যৌথ প্রতিরোধ আন্দোলন, এক বিবৃতিতে বলছে যে, 'এমনকি রমজানের মতো পবিত্র মাসেও কাশ্মীরে হত্যাযজ্ঞ ও রক্তপাত বন্ধের কোনো চিহ্ন নেই। বেসামরিক, সশস্ত্র যুবক এমনকি ভারতীয় বাহিনীও মারা যাচ্ছে।' শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে কাশ্মীরে একটি সাধারণ ধর্মঘট ডাকে দলটি। 'রয়টার্স'

ওডি/এসএমএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড