• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তদন্ত প্রতিবেদন

মার্কিন জোটের হামলায় সিরিয়ায় ১৬০০ বেসামরিকের মৃত্যু

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১২:১৭
সিরিয়া
ছবি : দা ডেইলি বিস্ট

সিরিয়া যুদ্ধে মার্কিন জোটের হামলা বন্ধ করতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আর্তনাদ কর্ণপাত করেনি কেউ। আইএসআইএল এর সিরিয়াস্থ রাজধানী রাক্কায় ২০১৭ সালে মার্কিন জোটের হামলায় ১৬০০ বেসামরিকের প্রাণ গিয়েছে বলে এক তদন্তে প্রতিবেদনে জানায় অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রাক্কা থেকে আইএস হঠাতে মার্কিন জোট এই হামলা চালায়, জোটের দাবিকৃত বেসামরিকের প্রাণহানির সংখ্যাটা তদন্ত প্রতিবেদনের ১০ ভাগের এক ভাগ।

অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পর্যবেক্ষক দল এয়ারওয়ারস বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থাটি জোটের শীর্ষ সদস্যদের প্রতি 'রাক্কায় প্রায় দুই বছর ধরে বেসামরিকের প্রাণহানির সংখ্যা ও ধংসযজ্ঞের দায় অস্বীকার বন্ধের' আহ্বান জানান।

অ্যামেনেস্টির সিনিয়র সঙ্কট প্রতিক্রিয়া উপদেষ্টা ডোনাটেলা রোভারা বলেন, 'বিমান হামলার বোমা বিস্ফোরণের অনেক তথ্য ভুল ছিল এবং তারা নির্বিচারে হাজার হাজার আর্টিলারি স্ট্রাইক চালিয়েছিল। জোট রাক্কাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে, তারা সত্য মুছতে পারবে না।'

প্রায় ৩ হাজার ডিজিটাল অ্যাক্টিভিস্টের অনলাইন উপগ্রহ চিত্রাবলী স্ক্যান করে দেখে, ফিল্ড গবেষণা করে এবং বিস্তারিত ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে কয়েক মাস ধরে এমন একটি প্রজেক্ট পরিচালনার পরে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। অ্যামনেস্টি ও এয়ারওয়ার বলেন যে, তারা যে নথিগুলো যাচাই করেছিল তা সম্ভবত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের সমপরিমাণ।

ছবি : সংগৃহীত

তারা জোটের সদস্যদের, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকে একটি স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থা স্থাপন এবং ঘটনার শিকার ও তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য একটি তহবিল তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় জোটটি বলেছে, 'বেসামরিক লোকজনের আক্রান্ত হওয়া হ্রাস করার সকল যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা' তারা গ্রহণ করেছে এবং এমন অভিযোগের জন্য এখনও একটি তদন্ত চলমান আছে। জোটের এক মুখপাত্র স্কট রলিনসন বৃহস্পতিবারের পরে আইএসআইএল এর আরবি আদ্যক্ষর ব্যবহার করে এক ইমেইল বিবৃতিতে জানায়, 'দায়েশকে পরাজিত করতে গিয়ে যেকোন বেসামরিকের মৃত্যুই দুঃখজনক।'

'তবে, দায়েশের ইচ্ছানুযায়ী যে কারও জন্য দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে ঠেলে দেয়ার মতো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির বিরুদ্ধে এটি অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।' বলে তিনি যুক্ত করেন।

আইএসআইএল ২০১৪ সালের প্রথম দিকেই সিরিয়া ও ইরাকে অগ্রসর হওয়ার সময় রাক্কা দখল করেছিল। এখানে সংক্ষিপ্তাকারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাধ্যমে দলটি তাদের স্ব-স্বীকৃত খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেছিল। সংগঠনটির বিপুল হত্যাযজ্ঞ এবং সংখ্যালঘুদের দাসত্ব প্রতিষ্ঠাকে জাতিসংঘ গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করেছে।

তখন থেকে এই দলটিকে সিরিয়ায় এবং ইরাকি সরকার, মার্কিন ও তাদের ইউরোপীয় সহযোগী এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া ও ইরানসহ বিভিন্ন বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত সামরিক অভিযান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সমস্ত অঞ্চলের থেকে পিছু হঠতে শুরু করে। এই বছরে সিরিয়ার শেষ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মার্কিন সমর্থিত যোদ্ধাদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিল। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোন অঞ্চল না থাকা সত্ত্বেও, এটি এখনও বিশ্বজুড়ে হামলা পরিচালনা করতে মারাত্মক হুমকি হিসাবে বিদ্যমান।

ছবি : সংগৃহীত

অ্যামনেস্টি গত বছর বলেছিল যে, রক্কায় জোটের বিমান ও আর্টিলারি হামলাগুলো বেসামরিক নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে, এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত বেসামরিক নিহতের সঠিক সংখ্যা তাদের হাতে ছিল না। লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠীটি রাক্কা যুদ্ধে ব্যাপক আর্টিলারি ব্যবহারের সমালোচনা করেছিল। বেসামরিক জনবহুল এলাকার ১০০ মিটারের কম সীমার মধ্যে নির্বিচারে হামলা চালানো একটি জঘন্য কাজ। 'আল-জাজিরা'

ওডি/এসএমএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড