• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিউজিল্যান্ডে ‘জাতীয় স্কার্ফ দিবস’ উদযাপন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ মার্চ ২০১৯, ০৪:১২
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা
ক্রাইস্টচার্চ হামলায় হতাহতদের প্রতি স্কার্ফ পরে সমবেদনা জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। (ছবিসূত্র : সিবিসি নিউজ)

ক্রাইস্টচার্চের পৃথক মসজিদে জুমার নামাজরত মুসলিমদের ওপর খ্রিস্টান সন্ত্রাসীর করা হামলায় হতাহতদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। যার অংশ হিসেবে শুক্রবার (২২ মার্চ) দেশটিতে ‘জাতীয় স্কার্ফ দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্কার্ভস ইন সলিডারিটি নামে একটি কিউই সংগঠনের দেওয়া বিবৃতির বরাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশব্যাপী এ আয়োজনের অন্যতম সংগঠক হলেন অ্যানা থমাস নামে এক নারী। ইতোমধ্যে অনলাইনে তার এ আহবানে সারা দিয়েছেন প্রায় হাজার খানেক মানুষ। একইসঙ্গে তারা এই উদ্যোগকে পুরোপুরি সমর্থনও জানিয়েছেন।

এ দিন স্থানীয় এক টেলিভিশনে প্রচারিত ম্যাজিক টক নামের অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সিয়ান প্লানকেটকে আয়োজনের সংগঠক অ্যানা থমাস বলেন, ‘আমরা বোঝাতে চাই যে এ দেশের মুসলিমরা একা নয়। নিউজিল্যান্ড কখনোই অনিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে নয়। আমরা সবাই হতাহতদের পাশে আছি। মূলত নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার আমরা স্কার্ফ পরবো।’

সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘যে নারীরা হিজাব পরে নিউজিল্যান্ডের রাস্তায় বের হয়, তারা বর্ণবাদী হামলার আশঙ্কায় থাকে। তাই এ দেশের সব নারীরা একসঙ্গে হিজাব পরলে তাদের এই আশঙ্কা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে। এতে তারা মনে করবে আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি।’

থমাস এও বলেছিলেন, ‘আমি ইসলামিক উইমেন’স কাউন্সিলের সদস্য নাসরিন হানিফের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনিও এ বিষয়ে আমার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তখন নাসরিন হানিফ আমাকে বলেছেন, এতে মনে হবে নিউজিল্যান্ডের সব মানুষ আমাদের কষ্টে পাশে আছে। আপনার এই চিন্তাভাবনার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এ দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হবে এটি।’

এর আগে গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নূর এবং লিনউড মসজিদে পৃথক হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনকে নিহত এবং আরও ৪৮ জন আহত অবস্থায় আছেন। হামলায় অভিযুক্ত ২৮ বছর বয়সী ব্রেনটন ট্যারেন্ট একজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক। ভয়াবহ এই হামলার প্রায় ৩৬ মিনিট পর তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় স্থানীয় পুলিশ।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এটাকে একটি সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করে হামলাকারীকে যথাযথ শাস্তি প্রদানের আশ্বাস দেন। পরে তিনি দেশটির সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনে বলেন, ‘মসজিদে হামলাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। তিনি নিজে অনেক কিছু ভাবতে পারেন তবে এতে কুখ্যাতি ছাড়া আর কিছুই পাননি।’

তার এই ঘৃণ্য কাজের জন্য আমি কখনোই তার নাম মুখে নেবো না বলেও উল্লেখ করেন নিউজিল্যান্ডের এই প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি দেশটির অস্ত্র আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনারও ঘোষণা দিয়েছেন।

অডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড