• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

লিনউড মসজিদে খাদেমের কারণেই বেঁচে গেল বহু প্রাণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ মার্চ ২০১৯, ১২:৩১
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুক হামলা
ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার শিকার মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি। (ছবিসূত্র : দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট)

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের পৃথক মসজিদে বন্দুক হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহতম এই হামলায় শহরের আল-নূর মসজিদে ৪১ জন, লিনউড মসজিদে সাতজন এবং ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।

যাদের মধ্যে আল-নূর মসজিদে বহু মুসল্লি নিহত হলেও পার্শ্ববর্তী লিনউড মসজিদের একজন খাদেমের সাহসিকতার কারণে সেখানে নিহতের সংখ্যা কিছুটা কম হয়েছে। খবর দ্য ইনডিপেন্ডেন্টের।

সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিনউড মসজিদের একজন মুসল্লি সৈয়দ মাজহারুদ্দিন বলেন, ‘আমি বন্দুকের গুলির শব্দ খুব ভালোভাবেই শুনতে পাচ্ছিলাম এবং বুঝতে পেরেছিলাম যে হামলাকারী আমার খুব কাছেই আছে। মানুষজন ভয় পেয়ে দিক-বিদিক পালিয়ে যায় এবং সবাই চিৎকার করতে থাকে। তাদের সঙ্গে সঙ্গে আমিও লুকানোর চেষ্টা করি।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এই মুসল্লি আরও বলেন, ‘লুকানোর পর দেখতে পাই বন্দুকধারী সেই ব্যক্তি মসজিদের প্রধান গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করছে। এটা ছোট একটি মসজিদ, আর তখন সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জন মুসল্লি ছিলেন। প্রবেশ মুখের কাছে কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি বসে নামাজ পড়ছিলেন এবং সে প্রথমে তাদের দিকেই গুলি করতে শুরু করে।’

তিনি বলেন, হামলাকারী প্রোটেকটিভ গিয়ার পরিহিত ছিল এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ছিল। তখন একজন ব্যক্তি দৌড়ে এসে বন্দুকধারীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। আর সেই ব্যক্তিই হচ্ছেন এই মসজিদের খাদেম। তিনি সুযোগ বুঝে বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার হাতের বন্দুকটি কেড়ে নেন।’

আরও পড়ুন :-

এবার লন্ডনে মুসল্লির ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা (ভিডিও)

মসজিদে উপস্থিত মুসল্লি সৈয়দ মাজহারুদ্দিন আরও বলেন, ‘মসজিদের খাদেম বন্দুকের ট্রিগার খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে তিনি বন্দুকধারীকে ধাওয়া করেন কিন্তু তার জন্য গাড়ি নিয়ে লোকজন অপেক্ষা করছিল। আর তাই হামলাকারী তখন গাড়িতে উঠে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে ক্রাইস্টচার্চে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং গোটা দেশের সকল মসজিদসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া এরইমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ নিহতদের মধ্যে তাদের নাগরিকও রয়েছেন বলে জানিয়েছে।

যাদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিও আছেন। এর মধ্যে ড. আব্দুস সামাদ নামে একজন অধ্যাপক রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ‘মসজিদে নুর’- এর মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড