• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জাতি-ধর্মহীন নাগরিককে স্বীকৃতি দিল ভারত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৮
ভারতের প্রথম জাতি-ধর্মহীন নাগরিক
ভারতের প্রথম জাতি-ধর্মহীন নাগরিক স্নেহা পার্থিবরাজা। (ছবি : সম্পাদিত)

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুপাত্তুরের বাসিন্দা স্নেহা পার্থিবরাজা। ৩৫ বছর বয়সী স্নেহা পেশায় একজন আইনজীবী। যেকোনো জাতি-ধর্মের ভেদাভেদহীন একটি মানব সমাজের স্বপ্ন দেখেন তিনি। তথাকথিত ধর্ম এবং জাতি বিষয়ে কোনোদিনই বিশ্বাস ছিল না তার।

জাতি-ধর্মের ভাগাভাগি ভুলে গিয়ে প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষাই তিনি পেয়েছিলেন পরিবারের কাছ থেকে। আর সেই মতো ২০১০ সালে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ‘জাতি-ধর্মহীন’ ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে এক আবেদন করেছিলেন। পরে দীর্ঘ নয় বছর লড়াইয়ের পর তার এ দাবির প্রেক্ষিতে এক সরকারি স্বীকৃতি লাভ করলেন তিনি।

সম্প্রতি তিরুপাত্তুরের তহশিলদার টি এস সাথিয়ামুর্তি আবেদনকারী স্নেহার হাতে তুলে দেন সরকারের এ স্বীকৃতি। সেখানে লেখা, ‘তিনি কোনো জাতি বা ধর্মের অন্তর্গত নন।’ মূলত এর মধ্য দিয়ে ভারতের প্রথম কোনো নাগরিক হিসেবে এই ধরনের স্বীকৃতি লাভ করলেন স্নেহা পার্থিবরাজা।

দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যের বরাতে করা প্রতিবেদনে এই ‘জাতি-ধর্মহীন’ নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

এই স্বীকৃতি লাভের পর স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্নেহা বলেছেন, ‘জাতপাতে বিশ্বাসীরা যদি সরকার থেকে স্বীকৃতি পেয়ে থাকেন, তাহলে আমরা যারা জাতি-ধর্মে বিশ্বাসী নই তারা কেন পাবো না?’

ভারতের ‘জাতি-ধর্মহীন’ এই নাগরিক আরও বলেন, ‘২০১০ সালে করা আমার আবেদনটি খারিজ করে দেন তৎকালীন সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু আমি ২০১৭ সালে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আবারো একটি আবেদন করেছিলাম।’

তিনি বলছিলেন, ‘যেহেতু আমি কোনো সামাজিক শ্রেণি ভিত্তিক সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করি না, তাই তখন আমার এই আবেদন গ্রহণ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।’

ভারতের প্রথম ‘জাতি-ধর্মহীন’ নাগরিক হিসেবে স্নেহাকে এই স্বীকৃতিপত্র প্রদানের বিষয়ে তিরুপাত্তুরের সাব-কালেক্টর বি প্রিয়ঙ্কা পঙ্কজাম বলছেন, ‘আমরা তার স্কুল কলেজের সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখেছি। তার সেসব নথিতে কাস্ট ও রিলিজিয়ন এই দুটি কলাম সর্বত্র ফাঁকা রাখা ছিল। তাই আমরা তার এই দাবিকে স্বীকৃতি প্রদান করলাম। তবে এর জন্য তাকে দেশের যেকোনো নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না।’

উল্লেখ্য, এই লড়াইয়ে স্নেহা তার পাশে পেয়েছেন স্বামী লেখক কে পার্থিবরাজাকে। নিজেদের এই পরম্পরা তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তারা নিজেদের তিন মেয়ের স্কুলের ফর্মে কোনো ধরনের জাতি কিংবা ধর্মের নাম উল্লেখ করেন না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড