কে এইচ আর রাব্বী
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ ইস্যুতে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় যাবত চলা শাটডাউনের সাক্ষী হলো যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে মার্কিন সরকারের প্রায় আট লক্ষাধিক কর্মী কোনো ধরনের বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন এফবিআই এজেন্ট থেকে শুরু করে জেলখানার পাহারায় নিযুক্ত কর্মীদের নামও।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হওয়া এবারের শাটডাউন ১৯৯৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের অধীনে ২১ দিনের শাটডাউনের রেকর্ডকেও শনিবার পেছনে ফেলে দিয়েছে।
এই দেয়াল নির্মাণ ইস্যুতে মার্কিন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের অসংখ্য বিভাগ ও সংস্থায় পুরোপুরি অচলাবস্থা দেখা দেয়।
পরবর্তী সময়ে এমন অবস্থা নিরসনে গত বুধবার (৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন হাউজ স্পিকার ন্যান্সী পেলোসী এবং সিনেট সংখ্যালঘু দলের প্রধান চাক শুমার মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করার বিষয়ে তাদের আগের অবস্থানে অটল থাকার কথা জানালে ট্রাম্প সেই বৈঠকও ওয়াক-আউট করেন।
বৈঠকে হাউজ স্পিকার ন্যান্সী পেলোসী বলেছিলেন, ‘বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারাটা আমাদের জন্য একইসঙ্গে আরেকটা ক্ষতি। প্রেসিডেন্টের আচরণে মনে হচ্ছে তিনি তাদের প্রতি ক্রমেই অসংবেদনশীল হয়ে পড়ছেন। তিনি (ট্রাম্প) হয়তো বা এটাই মনে করছেন যে তারা তাদের বাবার কাছে অর্থ চাইছেন।’
পরে সিনেট সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পেলোসী যখন দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দে তার অনুমোদন দিতে রাজি হননি তখনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনার মাঝখান থেকে উঠে চলে যান।’
চাক শুমার আরও বলেন, ‘এর আগে ট্রাম্প স্পিকার পেলোসীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আপনি কী আমার দেয়াল নির্মাণের ব্যাপারে রাজী আছেন? জবাবে স্পিকার বলেন ‘না’ আমি রাজি নই।” মূলত এরপরই ট্রাম্প আর কোনো কথা না বাড়িয়ে বৈঠক ত্যাগ করেন।’
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ বাবদ প্রায় ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৫৭০ কোটি ডলার পাস করাতে চান। তবে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর বলে মনে করছেন মার্কিন ডেমোক্রেট দলের নেতারা।
এর আগে গেল বারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি যেকোনো মূল্যে এই সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করব।’ যদিও ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন ডেমোক্রেট নেতারা বলছেন, ‘আমরা জনগণের করের টাকায় এ প্রতিশ্রুতি কখনোই পূরণ হতে দেব না।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড