• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত ২৬৪

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ অক্টোবর ২০২১, ০৯:২৯
ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত ২৬৪
বিমান হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে (ছবি : আল-জাজিরা)

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ মারিব অঞ্চলে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমান হামলায় ২৬০ জনের বেশি হুথি বিদ্রোহী সদস্য নিহত হয়েছে। দেশটির কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মারিবে গেল তিন দিনে হামলায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে রবিবার (২৪ অক্টোবর) সৌদি জোটের বিবৃতিতে জানানো হয়।

জোটের বরাতে সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি (এসপিএ) বলছে, মারিবের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের আল-কাসসারা এবং আল-জাওবার ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে হামলায় বিদ্রোহীদের ৩৬টি সামরিক যানবাহন ধ্বংস এবং ২৬৪ জনের বেশি হুথি সদস্য প্রাণ হারান।

ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সৌদি জোটের হামলায় হতাহতের ব্যাপারে খুব কমই মন্তব্য করে এবং ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি নিহতের সংখ্যা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।

গেল দুই সপ্তাহের প্রায় প্রত্যেকদিনই তেল সমৃদ্ধ উত্তর ইয়েমেনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশটির সরকারের সর্বশেষ ঘাঁটি মারিবের চারপাশে আক্রমণের খবর দিয়ে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। হামলায় শত শত হুথি বিদ্রোহী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে সৌদি জোট।

আরও পড়ুন : কট্টর চীনা ব্লগারদের লক্ষ্য এখন পশ্চিমারা

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একবার মারিব দখলে অভিযান চালিয়েছিল হুথিরা, যদিও সেবার বিপুল সংখ্যক যোদ্ধার প্রাণহানি হওয়ায় কয়েক মাস স্থগিত ছিল তাদের সেই দখল অভিযান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলীয় মারিব প্রদেশ হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

সৌদি জোট বলছে, হুথিদের দখলে যাওয়ার পর থেকে এই প্রদেশে বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল এবং মানবিক ত্রাণ সহায়তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

আরও পড়ুন : কলম্বিয়ার মাদক সম্রাট গ্রেফতার

বিতর্কিত সেই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসক গোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অপর দিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

উল্লেখ্য, ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ‘ছায়াযুদ্ধ’ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের সচ্ছল এই রাষ্ট্র।

আরও পড়ুন : মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত মিশনারিদের হত্যার হুমকি

জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।

সূত্র : এএফপি

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড