ইরাকের মার্কিন দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সে দেশের সংসদ সদস্য আহমাদ আল-কানানি। তিনি বলেছেন, বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র কূটনৈতিক মিশন যেখানে এই সমরাস্ত্র মোতায়েন রয়েছে।

শনিবার (২১ নভেম্বর) তিনি ইরাকের পার্লামেন্ট অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই প্রশ্ন করেন বলে দেশটির আল-মালুমা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে। আস-সাদিকুন দলের এই রাজনৈতিক নেতা বলেন, বিশ্বের কোনো দূতাবাস নিজের নিরাপত্তার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, জঙ্গিবিমান বা ট্যাংক মোতায়েন করে না। কাজেই বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস যা করেছে তা ইরাকের সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের আয়তন ৪২ হেক্টর যা ভ্যাটিক্যান সিটির আয়তনের চেয়ে বড়। গত ২২ জুলাই মার্কিন সেনারা এই দূতাবাস ভবনের নিরাপত্তা রক্ষায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা চালায়।

ইরাকের এই সংসদ সদস্য তার দেশ থেকে কিছু মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্পর্কে বলেন, ইরাকি পার্লামেন্ট এসব মার্কিন সেনার বিচার করার জন্য আইন পাস করেছে; কাজেই তাদেরকে প্রত্যাহার করে নেওয়া যথেষ্ট নয়।

আরও পড়ুন : ট্রাম্পের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা নিয়ে আমিরাতে পম্পেও

আরেক ইরাকি সংসদ সদস্য ফাজেল জাবের বলেছেন, ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ‘প্রতারণা’ ছাড়া আর কিছু নয়। তার মতে, আমেরিকার যদি সত্যিই ইরাক থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করার ইচ্ছে থাকে তাহলে তাকে বাগদাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে একটি সময়সীমা ঘোষণা করতে হবে।

আরও পড়ুন : হতাশ ট্রাম্প, পেনসিলভেনিয়াতেও মামলা খারিজ

গত মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমানোর কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ইরাকে বর্তমানে ৩ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা রয়েছে এবং সেখান থেকে ৭০০ সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

সূত্র : পার্সটুডে