আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হোয়াইট হাউস না ছাড়ার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো অনড়। এতকিছুর পরও তার অনেক সহযোগীই বলছেন, ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট থেকে যাবেন। যদিও সদ্য বিজয়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তিনি একটি করোনা টাস্ক ফোর্স গঠন করে ফেলেছেন। যার ধারাবাহিকতায় এবার হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফের নামও জানিয়ে দিলেন তিনি।
১৯৮০ সাল থেকে বাইডেনের সঙ্গে আছেন ক্লেইন। প্রথমে সেনেটের বিচারবিভাগীয় কমিটিতে, তারপর ভাইস প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ হিসাবে। বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট, তখনো তিনি হোয়াইট হাউসে উচ্চ পদে ছিলেন। আল গোর যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ ছিলেন।
হোয়াইট হাউসে চিফ অফ স্টাফের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি প্রেসিডেন্টের প্রতিদিনের কর্মসূচি ঠিক করেন। তাকে বলা হয় গেটকিপার। প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছাতে গেলে আগে তার অনুমোদন জরুরি। তার নিয়োগ প্রায়শই রাজনৈতিকভাবে হয় এবং এর জন্য মার্কিন সেনেটের অনুমোদন লাগে না।
এ দিকে ক্লেইনের বিপুল প্রশংসা করে বাইডেন বলেছিলেন, ক্লেইনের অভিজ্ঞতা অপরিসীম। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ হতে গেলে এটাই দরকার। আমরা একটা সংকট সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা আপাতত সব চেয়ে বড় কাজ।
আরও পড়ুন : আলাস্কায় তিন ভোট পেলেন ট্রাম্প
অপর দিকে ক্লেইন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমাকে এই আস্থা রেখেছেন জেনে গর্বিত। হোয়াইট হাউসে তাকে সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে আছি। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা আছে। তারা বিশ্বে পরিবর্তন আনতে চান। ক্ষত সারিয়ে আমেরিকাকে আবার ঐক্যবদ্ধ করতে চান।
আরও পড়ুন : সরকারের নিয়ন্ত্রণে গিয়েও অনলাইন মিডিয়ার স্বাধীনতা থাকবে ভারতে
২০০০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে একটি সিনেমা হয়েছিল। তার নাম ছিল 'রিকাউন্ট'। সেখানেও তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ ক্লেইনের ভূমিকা ছিল। সেখানে অবশ্য কেভিন স্পেসি তার ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন।
সূত্র : এপি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড