আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ দেওয়ার কথা বলে এক চিকিৎসকের কাছ থেকে ৩১ লাখ রুপি হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রের লোকজন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মিরাট জেলায়।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালে সামিনা নামে এক নারীর চিকিৎসা করতেন ওই চিকিৎসক। সেই সুবাদে রোগীর বাড়িতে যাওয়া হতো তার। সেখানেই ইকরামুদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয়। ইকরামুদ্দিন নিজেকে ওই নারীর পুত্র বলে পরিচয় দেন।
তারা সেখানে তাকে একজন ‘তান্ত্রিক বাবার’ সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেন। তারা তার কাছে আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ বিক্রির প্রস্তাব দেন। তারা তাকে বোঝান এটি দিয়ে তিনি অর্থ সম্পত্তি, সুস্বাস্থ্য, ভবিষ্যৎ, যা চাইবেন তা-ই পাবেন।
এমনকি তারা তাকে নাকি প্রদীপ থেকে ‘জিন’ বের করেও দেখিয়েছেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করে তিনি প্রদীপটি কিনে নিতে রাজি হন। তারা প্রদীপটির মূল্য হাঁকেন দেড় কোটি রুপি। পরে পর্যায়ক্রমে তিনি তাদের ৩১ লাখ রুপি শোধ করেন। যদিও কথিত আলাদীনের প্রদীপটি দিতে গড়িমসি শুরু করে তারা। তাকে বলা হয়, প্রদীপটি তাকে দেওয়া যাবে না কারণ সেটি স্পর্শ করলে নাকি তার ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন : মহানবী (সা.)কে কটূক্তি করায় এবার বেলজিয়ামে শিক্ষক বরখাস্ত
কিছুদিন পরে তিনি বুঝতে পারেন তাকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। তান্ত্রিক পরিচয় দেওয়া ইকারমুদ্দিন আসলে সামিনার স্বামী। ডাক্তারকে ধোঁকা দিতেই বন্ধু আনিসের সাহায্য নিয়ে ইকরামুদ্দিন নিজেই জিন সেজেছিলেন।
পরে এ নিয়ে ২৫ অক্টোবর ব্রহ্মপুরি থানায় মামলা করেন ওই চিকিৎসক।
ওই থানার কর্মকর্তা অমিত রাই জানিয়েছেন, ইকরামুদ্দিন ও আনিসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সামিনাকে খোঁজা হচ্ছেও বলে জানান তিনি। পুলিশের ধারণা প্রতারক চক্রটি একই ধরনের আরও অনেক ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন : ইসলাম অবমাননা ইস্যুতে ভারতীয়রা কেন ফ্রান্সের পক্ষে?
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী এল এ খান একজন লন্ডনফেরত চিকিৎসক। এ ঘটনা নিয়ে ভারত ও ভারতের বাইরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজেও বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র : এই সময়
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড