• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পরিবারকে বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষিতার দেহ জ্বালিয়ে দিল ভারতের পুলিশ  

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:১৯
করোনা
ছবি : সংগৃহীত

হাথরাসে গণধর্ষণে মৃত তরুণীর দেহ জোর করে রাতারাতি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মৃত তরুণীর পরিবারকে বাড়িতে তালাবন্ধ করে মঙ্গলবার রাত ২.৩০ নাগাদ দেহটি সত্‍‌কার করে দেয় পুলিশ। নৃশংস গণধর্ষণের পরও অভিযোগ দায়েরের সময় কোনওরকম সহযোগিতা না-করার অভিযোগ উঠেছিল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও মৃতের পরিবারের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদের ছবি ধরা পড়েছে। মেয়েটির শেষকৃত্যের পর অসহায়ভাবে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁর মাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের আত্মীয়রা।

গণধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের পর সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই তরুণী। তবে ২ সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে নিজের গ্রামেই গণধর্ষিতা হয়েছিলেন ২০ বছরের তরুণী। পাশাপাশি তাঁর উপর চলেছিল নৃশংস অত্যাচার। শরীরে বেশ কয়েকটি হাড় ভাঙা এবং জিভ কাটা অবস্থায় তাকে সে রাজ্যেরই একটি হাসপাতালের আইসিউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় সোমবার রাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দিল্লির হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষিতা মেয়েটি তফশালি জাতিভুক্ত, তবে অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই উচ্চবর্ণের। গত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটে চলায়, দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিগৃহীতার পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে তাদের কোনও সাহায্যই করেনি পুলিশ। পরে জনরোষের চাপে পড়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। তরুণীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের বাইরে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। স্লোগান ওঠে 'ধর্ষকদের ফাঁসি চাই।' মৃতার দাদার অভিযোগ, পরিবারকে কিছু না-জানিয়েই দেহ বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালের বাইরেই ধরনায় বসেছিলেন মৃতার বাবা। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের প্লেট লাগানো একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

মাঝরাতেই মেয়েটির দেহ তাঁর গ্রাম হাথরাসে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতার দেহ যাতে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা। রাস্তায় চলতে থাকে বিক্ষোভ। তবে মাঝরাতেই বিক্ষোভ সরাতে সরাতে দেহ নিয়ে পুলিশের গাড়ি পৌঁছয় শ্মশানে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমকে রুখতে পুলিশ মানবশৃঙ্খলও তৈরি করেছিল। সেখানে শুধুমাত্র পুলিশই উপস্থিত ছিল। এমনকি পরিবারকেও মৃতার শেষকৃত্যের সাক্ষী থাকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

ওডি/

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড