উত্তেজনা বাড়িয়ে সিরিয়ায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র সিরিয়ায় সেনা উপস্থিত বাড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি রুশ সেনাদের সঙ্গে দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের পর উত্তেজনা বাড়লে ট্রাম্প প্রশাসন সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি নেয়। চলতি বছরে সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে মার্কিন সেনাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি নিউজের।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ছয়টি বাড়তি আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ট্যাংক ছাড়াও অতিরিক্ত প্রায় একশো সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নৌবাহিনীর (ইউএস নেভি) ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কোয়ালিশন বাহিনীর সুরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন বিল আরবান আরও বলেন, কুয়েতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে থাকা এসব যুদ্ধযানের পাশাপাশি সিরিয়ায় একটি ‘সেন্টিনেল রাডার’ মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া মার্কিন বাহিনী যেসব এলাকায় টহল দেয় তাদের মাথার উপর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানও মহড়া চালাবে।

গত শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র আরবান বিবৃতির মাধ্যমে বলেন, সিরিয়ায় অন্য কোনো দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চায় না যুক্তরাষ্ট্র, তবে প্রয়োজনে কোয়ালিশন বাহিনীকে সুরক্ষা দেবে। যদিও মার্কিন সেন্ট্রাল বাহিনীর এ মুখপাত্রের বিবৃতির কোথাও রাশিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুন : তালিবানকে ধ্বংস করতে আফগান সেনাদের ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান দিল যুক্তরাষ্ট্র

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মার্কিন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ও শক্তিবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা রাশিয়া ছাড়াও অন্যান্য পক্ষকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অলাভজনক, অনিরাপদ এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপগুলো এড়ানোর একটি সুস্পষ্ট সংকেত দিচ্ছি।

আরও পড়ুন : মার্কিন সেনাদের কবরে পাঠানোর হুঁশিয়ারি ইরানের

এনবিসি নিউজ আরও জানিয়েছে, উত্তরপূর্ব সিরিয়ার একটি ‘নিরাপদ জোন’ যেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বাহিনী এবং কুর্দিরা কার্যক্রম পরিচালনা করে সেখানে রুশ বাহিনীর প্রবেশ আটকাতেই নতুন করে সেনা ও সাঁজোয়া যান পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার রোমহর্ষক ভিডিও প্রকাশ

উল্লেখ্য, গত মাসের শেষ দিকে মার্কিন সেনাদের একটি দল রাশিয়ার একটি সাঁজোয়া যানের মুখোমুখি হয়ে গেলে লড়াইয়ে সাত মার্কিন সেনা আহত হয়। লড়াইয়ের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া সরকার এ ঘটনার জন্য পরষ্পরকে দায়ী করেছে।