• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আয়া সোফিয়াকে ঘিরে তুরস্ক-গ্রিস উত্তেজনা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৬ জুলাই ২০২০, ১৯:৪১
করোনা
ছবি : সংগৃহীত

তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে বিখ্যাত জাদুঘর আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রুপান্তর করার ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

আলজাজিরা জানায়, আদালতের রায়ে পুনরায় মসজিদের মর্যাদা পাওয়া তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়ায় ৮৬ বছর পর শুক্রবার থেকে ফের নামাজ আদায় শুরু হয়।

এদিন জুমার নামাজে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজের আগে সেখানে কুরআন তেলোয়াতে অংশ নেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান।

বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের আয়া সোফিয়া গির্জাকে ওসমানি খেলাফতের সময় মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে কামাল আতার্তুক এটিকে জাদুঘরে পরিণত করেন।

এদিকে আয়া সোফিয়াকে ফের মসজিদে রূপান্তর করায় নিন্দা জানায় গ্রিস। শুক্রবার দেশটিতে তুরস্কের পতাকা পোড়ানো হয়।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকোস মিতসোকাতিস বলেন, ইস্তাম্বুলে যা ঘটছে তা 'বলপ্রয়োগের প্রদর্শন নয়, তা দুর্বলতার প্রমাণ'।

সেইসঙ্গে তিনি তুরস্ককে একটি 'সমস্যা সৃষ্টিকারী' দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

গ্রিসের এমন মন্তব্যের জবাবে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ইসলামের প্রতি গ্রিস আবারো শত্রুতা প্রদর্শন করলো।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এক প্রতিক্রিয়া বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, যেসব দেশ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বেশি কথা বলছে তাদের লক্ষ আয়া সোফিয়া নয়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই অঞ্চলের তুর্কি জাতি ও মুসলিমরা।

গত ১১ জুলাই ১৯৩৪ সালের এক ডিক্রি অবৈধ ঘোষণা করে আয়া সোফিয়াকে ফের মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে রায় দেয় আদালত। প্রশাসনিক আদালত থেকে রায় পাওয়ার এক ঘণ্টা পর নতুন ডিক্রি জারি করেন এরদোয়ান।

বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে ষষ্ঠ শতাব্দীতে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ওই সময় এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা।

এরপর ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল ওসমানী খেলাফতের দখলে গেলে একে মসজিদে পরিণত করেন বিজেতা সুলতান মাহমুদ ফাতিহ।

ওসমানী খেলাফতের বিলুপ্তি হলে ১৯৩৪ সালে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। এটি এখন ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান।

ওডি/

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড