• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মোদীর বাবার জন্মসনদ দেখতে চাইলেন ভারতীয় পরিচালক

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:০৭
মোদী ও কাশ্যপ
নরেন্দ্র মোদী ও অনুরাগ কাশ্যপ (ছবি : সংগৃহীত)

তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। শুরু থেকেই বিতর্কিত এই আইনের বিরোধিতা করে আসছেন দেশটির চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ। এই আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাবার জন্মসনদ দেখতে চেয়েছেন তিনি।

ভারতীয় এই চলচ্চিত্র নির্মাতার করা এক টুইটার বার্তার বরাতে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই খবর প্রকাশ করেছে ‘দ্য হিন্দু’।

ওই টুইটার বার্তায় অনুরাগ লিখেছেন, ‘আমরা নরেন্দ্র মোদী, তার বাবা এবং পুরো পরিবারের জন্মসনদ দেখতে চাই। তার পরই ভারতের জনগণ মোদীকে নিজেদের জন্মসনদ দেখাবে।’

শুধু তাই নয়, ওই টুইটার বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনুরাগ কাশ্যপ। এ ব্যাপারে তিনি লেখেন, ‘নরেন্দ্র মোদী যে শিক্ষিত সেটার প্রমাণ চাই। আর তিনি যে রাজনীতি বিজ্ঞানে ডিগ্রি নিয়েছেন তাও দেখতে চাই আমরা।’

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। বিলটি উত্থাপন করেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি। রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি। আর বিপক্ষে পড়ে ১০৫টি ভোট। এরপর ১২ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি বিতর্কিত এই বিলে সই করেন। ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়।

আরও পড়ুন- ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর সাহস কারও নেই : আইআরজিসি

বিতর্কিত আইনটিতে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি জমানো হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনটির বিরুদ্ধে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতজুড়ে চলছে তীব্র বিক্ষোভ। তবে বিক্ষোভের মুখেই গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কার্যকর হয়েছে আইনটি।

ওডি/এসসা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড