• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাকি অ্যালার্জি?

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

০৩ আগস্ট ২০১৯, ১৪:১১
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ছবি : প্রতীকী

অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন যে, কোনো একটি নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন করার পর তাদের অ্যালার্জি হয়েছে। কিন্তু এটা কি আসলেই অ্যালার্জি? কোনো ওষুধ সেবন করার পর ব্যক্তির মধ্যে মোট দুটো ব্যাপার ঘটতে পারে। একটি হলো অ্যালার্জি, অন্যটি হলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

আপনার মনে হতেই পারে যে, অ্যালার্জি কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দুটোই প্রায় একই জিনিস। এ নিয়ে বাড়তি চিন্তা করার কী আছে? কিন্তু আপনার এই চিন্তাটি একেবারেই ভুল। অ্যালার্জি আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একেবারেই দুটো ভিন্ন জিনিস। এর ফলাফলটাও অনেক আলাদা।

অ্যালার্জি হয়ে থাকলে সেখান থেকে শুধু আপনার অসুস্থতা নয়, হতে পারে মৃত্যুর মতো ভয়ানক কিছুও। অন্যদিকে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেও ভয়ঙ্কর কোনো ঘটনা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এজন্য কোনো ওষুধ সেবনের মাধ্যমে অ্যালার্জি হলে চিকিৎসকেরা সেটা সেবন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

অন্যদিকে, সাধারণ সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও আমরা অনেক ওষুধ সেবন করতে পারি। এতে করে কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এই যেমন- কিছু ওষুধ সেবন করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আমাদের ঘুম আসে। এটা কিন্তু আদতে খুব বড় কোনো সমস্যা নয়। তবে অ্যালার্জির প্রভাবটা এত সহজ হয় না।

আর কী কী পার্থক্য আছে অ্যালার্জি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে? চলুন, দেখে নেওয়া যাক-

অ্যালার্জি : রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতাই সবকিছুর মূলে!

অ্যালার্জি কখন ঘটে? এটি কোনো অসুখ নয়। বরং, ব্যাপারটি এমন ঘটে যে, শরীর হুট করে কোনো নতুন উপাদানের সংস্পর্শে আসলে তখন এর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা নানারকম প্রতিক্রিয়া দেখায়। নতুন সে উপাদানটির বিরুদ্ধে কাজ করার চেষ্টা করে। ফলে তৈরি হয় অ্যালার্জি। এই অ্যালার্জির ফলাফল হিসেবে খুব সামান্য কোনো সমস্যা থেকে শুরু করে নিঃশ্বাস না নিতে পারা এবং কণ্ঠনালী আটকে আসার মতো বড় বড় সমস্যাও হতে পারে।

অনেকসময় জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন। খুব বড় কোনো সমস্যা অ্যালার্জির কারণে হলে সেটা অনেকসময় শুরু থেকেই বুঝে যান আক্রান্ত ব্যক্তি। আর অন্যথায় এই প্রতিক্রিয়া অনেক ধীরে ধীরেও দেখা দিতে পারে।

আবার অনেকসময় কয়েক সপ্তাহ ধরে ভোগার পর অ্যালার্জি ঠিক হয়ে যায়। সাধারণত, শরীরে যে উপাদানটির উপস্থিতির কারণে অ্যালার্জি হচ্ছে সেটি পুরোপুরি চলে গেলেই অ্যালার্জি ঠিক হয়ে যায়। এ সময় যে উপসর্গগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো-

চোখ চুলকানো ও চোখে পানি আসা শরীরে চুলকানি ত্বকে লালচে ভাব হাঁচি দেওয়া ইত্যাদি

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : শরীরের যখন যত্ন লাগে আরেকটু বেশি!

কিছুক্ষেত্রে ওষুধ সেবন করার পর আমাদের শরীরের একটু বাড়তি মনোযোগের প্রয়োজন পড়ে। অ্যালার্জির সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পার্থক্য হলো, অ্যালার্জিতে আমাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্টের বেলায় এটি কোনো ভূমিকাই পালন করে না। এক্ষেত্রে শুধু শরীর একটু স্থবির হয়ে পড়ে এবং এমন কিছু ব্যাপার তৈরি হয় শরীরে যেগুলোর মুখোমুখি আপনাকে হয়তো প্রাত্যাহিক জীবনে হতে হয় না।

ওষুধ শরীরে কাজ করার ফলাফল হিসেবেই এমনটা হয়ে থাকে। ওষুধের শরীরে কাজ করতে যে যে পরিস্থিতির দরকার পড়বে সেগুলোই তৈরি করে নেওয়া হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে।

অ্যালার্জির সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পার্থক্য হলো, এটি খুব বেশি ক্ষতিকর প্রভাব সাধারণত আমাদের শরীরে ফেলে না। সময়ের সাথে সাথে এই সমস্যা কেটে যায়। এক্ষেত্রে- সর্দি, তন্দ্রাভাব, মাথাব্যথা, ঘুম, সিদ্ধান্তহীনতার মতো ব্যাপারগুলো বেশি হয়।

এই ব্যাপারগুলোকে খুব সহজ কিছু মনে হলেও, বাস্তবে ওষুধের প্রভাবে অ্যালার্জি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সেখান থেকে বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাওয়া কঠিন কিছু নয়। তাই, ওষুধ সেবনের পর শারীরিক সমস্যা বোধ করলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলে এর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন এবং সময় থাকতেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

সূত্র- ওয়েবএমডি।

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড