• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এসিএল সার্জারি কী? জেনে নিন বিস্তারিত

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

২৫ জুন ২০১৯, ১৫:৩২
অ্যাটেরিয়র ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট
ছবি : প্রতীকী

এসিএল বা অ্যাটেরিয়র ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট আমাদের পায়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্যন্ত দরকারি। আমরা হাঁটলে, দৌড়ালে বা পায়ের যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে গেলেই এসিএলের দরকার পড়ে। এটি পা বাঁকা করতে সাহায্য করে। কিন্তু কোন কারণে এই এসিএল আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে হাঁটাটাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। হুট করে কোনো আঘাত পেলে, বিশেষ করে খেলাধুলার সাথে নিয়োজিত কারো এই সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এসিএল যদি আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাহলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসাটা খুব সহজ। তবে, যদি আপনার এসিএল কোন কারণে ছিঁড়ে যায়, সেক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে নতুন এসিএল স্থাপন করারও দরকার হতে পারে। চলুন, এই অপারেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

এসিএল অপারেশনে কী হয়?

সাধারণত চিকিৎসকেরা এক্ষেত্রে নানারকম থেরাপি ব্যবহার করে সমস্যা দূর করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, এতে কোন কাজ না হলে এবং এসিএল খুব বাজেভাবে আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে অপারেশনের দরকার পড়তে পারে। এক্ষেত্রে আপনার হাঁটুর লিগামেন্ট সরিয়ে নিয়ে নতুন টিস্যু সেখানে প্রতিস্থাপন করবেন চিকিৎসক। এতে করে এসিএলের পক্ষে আপনার হাঁটুর হাড়কে ধরে রাখা সহজ হবে।

আপনি কোন ব্যথা অনুভব করবেন না। আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারির মতো পদ্ধতিই এখানে ব্যবহার করা হয়। এতে একটি ছোট্ট কাটার মধ্য দিয়ে ক্যামেরা ছোট্ট যন্ত্র প্রবেশ করানো হয় হাঁটুতে। ওপেন-নী সার্জারি না হওয়ায় এতে দাগও পড়ে কম।

অপারেশনের প্রক্রিয়াটি কী?

অপারেশনের সময় চিকিৎসক একটি টেন্ডন আপনার এসিএলের স্থানে স্থাপন করবেন। এই টেন্ডন আপনার শরীরের অন্য কোন স্থান থেকে নেওয়া হতে পারে। আবার অন্য কোন মানুষের কাছ থেকে এই টেন্ডন আসতে পারে। একবার এটি প্রতিষ্ঠাপিত হয়ে গেলে একে গ্রাফট বলা হয়। একটি গ্রাফট সঠিক স্থানে প্রতিষ্ঠাপিত করতে চিকিৎসকেরা আপনার হাঁটুর হাড়ের উপরে একটি ছিদ্র এবং নিচে একটি ছিদ্র করবেন। এরপর সেখানে স্ক্রুর মাধ্যমে গ্রাফট প্রবেশ করালে ধীরে ধীরে সেটি নতুন লিগামেন্ট তৈরিতে সাহায্য করবে। সাধারণত, একটি এসিএলের পুরোপুরি বিকশিত হলে মাসখানিক সময়ের প্রয়োজন হয়।

এই অপারেশনের পর কিছুদিন হাঁটু ও পায়ের উপরে চাপ দিতে চিকিৎসকেরা মানা করে থাকেন। এসময় হাঁটুতে ব্রেস ব্যবহার করা হয়। তবে আরো ভালো কিছুর জন্য আপনি ব্রিজ-এনহান্সড এসিএল রিপেয়ার বা বিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ছিঁড়ে যাওয়া এসিএলকে নিজ থেকে ঠিক হয়ে যেতে প্রভাবিত করা হয়। এজন্য একটি ছোট্ট স্পঞ্জ হাঁটুতে প্রবেশ করান চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকেরা এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এখনও কাজ করে চলেছেন।

ভয় পাচ্ছেন? ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। এটি খুব সাধারণ একটি সার্জারি। সাধারণত এক ঘণ্টার মধ্যেই অপারেশন শেষ হয়ে যায়। আর অপারেশনের দিনই বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন আপনি। তবে চিকিৎসকের কথানুসারে কিছুদিন হাঁটাচলা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে আপনাকে। বিশ্রাম নিতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

ভালো হয়, যদি পায়ের নিচে একটি বালিশ ব্যবহার করেন। তবে চিন্তা নেই। কয়েক মাসের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন আপনি। দৈনন্দিন সব স্বাভাবিক কাজের ফিরে যাওয়া হয়ে পড়বে অনেক অনেক বেশি সহজ।

সূত্র- ওয়েবএমডি

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড