• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ট্যাটু করাচ্ছেন? সংক্রমণের ভয় সম্পর্কে জানেন তো!

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

২২ জুন ২০১৯, ১৩:৪০
ট্যাটু
ছবি : প্রতীকী

ট্যাটু করাতে পছন্দ করেন অনেকেই। অনেকেই হয়তো আবার কিছুদিন পরেই ট্যাটু করার কথা ভাবছেন। আপনি যদি ট্যাটু বা পিয়ার্সিং করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। কারণ, সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, ট্যাটু বা পিয়ার্সিংয়ের মাধ্যমে ভয়াবহ রকমের সংক্রমণের শিকার হতে পারেন যে কেউ। চলুন, এ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

বর্তমান সময়ে যেকোনো স্থানে, যেকোনো পরিবেশে ট্যাটু পার্লার গড়ে উঠছে। এ নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহও গড়ে উঠেছে আগের চাইতে অনেক বেশি হারে। তাই, পরিবেশ নিয়ে মাথা না ঘামিয়েই কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। একদিক দিয়ে দেখতে গেলে কিন্তু ট্যাটু পার্লার অনেকটা ক্লিনিকের মতোই। আর তাই, এই স্থানটি অস্বাস্থ্যকর হলে তার প্রভাব পড়ে সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে। জীবাণু সহজেই শরীরের মধ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পায়।

ট্যাটু করা বা শরীরে কোনো ছিদ্র তৈরি করতে গেলে ত্বকের সংস্পর্শে আসতে হয়। এতে করে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অর্গানিজম শরীরে প্রবেশ করতে পারে সহজেই। অন্য একজন মানুষের কাছ থেকে রোগ পরিবাহিত হতেও খুব একটা বেশি সময় লাগে না এই পদ্ধতিতে।

সংক্রমণ বলতে খুব সহজ কিছু মনে হলেও, বাস্তবে ব্যাপারটি অঙ্গহানির কারণও হয়ে যেতে পারে। অপরিষ্কার সুঁইয়ের কারণে হেপাটাইটিস, এইচআইভি বা সিফিলিসের মতো অসুখও ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক অসুখ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে পরবর্তীতে এই ট্যাটু পার্লারগুলো অনেক বড় ভূমিকা রাখবে, এমন আশঙ্কা করছেন সবাই।

অবশ্য, সাধারণত এই সমস্যা খুব কম পরিমাণে দেখা যায়। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ ট্যাটু বা পিয়ার্সিং করার পর জ্বালাপোড়া বা কোনো সমস্যা বোধ করেন। এর মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ মানুষ সংক্রমণের শিকার হন এবং চিকিৎসকের সাহায্য নিতে বাধ্য হন। তবে এই পরিসংখ্যানে উঠে আসে যে, বেশিরভাগ মানুষের মতে, পরিচ্ছন্নতা ও সতর্কতা বজায় রাখলেই এ রকমের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

এ ব্যাপারে কোনো আইন আছে কি?

বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য কোনো আইন এ ব্যাপারে না থাকলেও ইউরোপের নানা দেশ এবং পশ্চিমে এ নিয়ে নানারকম নিয়ম করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে এ ধরনের কার্যক্রম চালাতে লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে। তবে ইংল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে শুধু একটি রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করেন ট্যাটু পার্লার খুলে ফেলা যায়। অন্যদিকে, স্কটল্যান্ডেও লাইসেন্স ও পর্যাপ্ত দক্ষতার প্রমাণপত্র দিতে হয় এমন কোনো কাজ শুরু করার আগে।

শুধু সুঁই না, এই পুরো প্রক্রিয়াটিতে যে কসমেটিকস ব্যবহার করা হয়, অনেকসময় সেটার মান ভালো না থাকার কারণেও সমস্যা দেখা দেয়। তাই, ট্যাটু বা পিয়ার্সিং করা থেকে বিরত থাকুন। আর যদি করতেই হয়, তাহলে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, সুঁই, কসমেটিকস এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপাতি- এই পুরো প্রক্রিয়াটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন যে কোনো উপাদানের পরিচ্ছন্নতা ও মান ঠিক আছে। তাহলেই অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো সমস্যা থেকে সহজেই মুক্ত থাকতে পারবেন আপনি।

সূত্র- বিবিসি

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড