• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং কিছু বিভ্রান্ত ধারণা

  স্বাস্থ্য ডেস্ক

১৪ জুন ২০১৯, ১৫:৫৯
রক্তদান
স্বেচ্ছায় রক্তদানে বিভ্রান্তি আছে জনমনে (ছবি: মডার্ন এশিয়া ডট কম)

প্রয়োজনে রক্তদান বিষয়টিকে সবাই উৎসাহ দেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো সুস্থ মানুষই স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে পারেন নিশ্চিন্তে। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে কিছু শর্ত। আর এই শর্তগুলোকে নিয়ে অনেকের মাঝেই তৈরি হয় বিভ্রান্তি। আর এই বিভ্রান্তিগুলোই হয়ে ওঠে ভুল ধারণার কারণ। চলুন জেনে নিই এমন কিছু বিভ্রান্তি সম্পর্কে যেগুলো থেকে হয়তো আপনি নিজেকে রক্ত দান করা থেকে বিরত রাখছেন-

স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে পারেন না ভেজিটেরিয়ানরা

অনেকের ধারণা মাছ-মাংস খান না বলে ভেজিটেরিয়ান বা নিরামিষাশীদের খাদ্যে আয়রন কম থাকে। কিন্তু এই ধারণা মোটেও সঠিক নয়। এই শঙ্কাটা মূলত তৈরি হয়েছে রক্তে আয়রনের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে। মাছ-মাংস না খেলেও আপনি যদি সুষম খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করেন তবে রক্ত দেওয়ার বেলায় কোনো বাধা নেই। তবে রক্তে আয়রন কম থাকলে নিরাপত্তার কথা ভেবেই আপনাকে রক্ত দেওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না। যে ব্যক্তি রক্ত দান করবেন তিনি অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন কিনা এমনটা আগে থেকে জানার জন্য অনেক দেশে রক্তদানের আগে হিমোগ্লোবিন টেস্ট করে নেওয়া হয়।

অসুস্থ, অন্তঃসত্ত্বা, শিশু কিংবা বয়োবৃদ্ধদের রক্ত দিতে বাধা

এই তথ্যটি সত্য। অন্তঃসত্ত্বা কিংবা প্রসূতি নারী যদি শিশুকে স্তন্যদান করেন, অথবা কোনো নারীর অ্যাবোরশন হয়ে থাকে, তবে রক্তে আয়রনের মাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রক্তদানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

রক্তদানের জন্য নূন্যতম বয়স ১৬ বছর। এর চেয়ে বয়স কম হলে সে তরুণ বয়সীদের জ্ঞান হারানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। বেশিরভাগ দেশে এই বয়সীদের রক্তদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। যারা নিয়মিত রক্তদান করেন তাদের বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। কিছু দেশে এই বয়স ৬০-৭০ বছর।

এছাড়াও এইচআইভি পজিটিভ (এইডস আক্রান্ত) ব্যক্তি, হেপাটাইটিস, সিফিলিস, টিবি এবং রক্তবাহিত আরো কিছু রোগে যারা আক্রান্ত তারা কেউ রক্ত দান করতে পারবেন না। ঠান্ডা, সর্দিজ্বর, খুশখুশে কাশি, পেট খারাপ হলেও রক্তদান করা যাবে না। যে কোনো অসুখ থেকে সেরে ওঠার ১৪ দিন পর রক্তদান করার অনুমতি দেওয়া হবে আপনাকে।

যদি ব্যক্তি কোনো অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে কোর্স শেষ হওয়ার সাত দিন পর রক্ত দেয়া যাবে। তবে ওষুধের বেলায় একেক দেশে একেক নিয়ম মানা হয়।

রক্তদানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় যে সকল 'ঝুঁকিপূর্ণ' কাজ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, 'ঝুঁকিপূর্ণ যৌনাচার', যেমন বহুগামিতা, অর্থের বিনিময়ে যৌনসংগম, পুরুষ সমকামিতা ইত্যাদি রক্তদানে বাধা হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তদানের অনুমতি মেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই। যারা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা করেন তারাও রক্ত দিতে পারবেন না। অনেক দেশে এসব 'ঝুঁকিপূর্ণ' কাজে নিয়োজিতদের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া হয় না। এছাড়াও যেসব দেশে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং জিকা ভাইরাসের প্রকোপ রয়েছে সেখান থেকেও কেউ আসলে তার রক্ত গ্রহণ করা হয় না।

রক্তদানে কারও মৃত্যু হয় না

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে গড়পড়তা পাঁচ লিটার রক্ত থাকে (দেহের ওজনের বিবেচনায়)। প্রতিবার রক্তদানে ৫০০ মিলিলিটার করে রক্ত নেওয়া হয়। রক্তদানের পর ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন রক্ত তৈরি হয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

ওডি/এএন

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড