• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্ট্রোক : ভয় নয়, চাই সচেতনতা

  স্বাস্থ্য ডেস্ক

১৭ মে ২০১৯, ১০:২৬
স্ট্রোক
ছবি : প্রতীকী

২৭ বছর বয়সী তরুণ শামীম। সেদিন অফিস থেকে ফিরেই কেমন যেন অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছিলেন। একসময় অজ্ঞান হয়ে গেলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানালেন, শামীম আর বেঁচে নেই। কী হয়েছিল তার? জানা গেল, স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু ঘটেছে শামীমের।

প্রানঘাতী ও পক্ষাঘাত রোগ হলো স্ট্রোক। অথচ বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে, পৃথিবীতে যতগুলো স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে, তার ৯০ শতাংশই প্রতিরোধ করা সম্ভব। তার জন্য কেবল জীবন অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা আবশ্যিক।

স্ট্রোক কী?

সাধারণত মস্তিস্কে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে কিংবা কখনো রক্তনালী ফেটে গিয়ে যদি রক্ত জমাট বাঁধে এবং তার ফলে যদি মস্তিষ্কের কোনো অংশের কোষে স্থায়ী ক্ষতি হয় তবে তাই স্ট্রোক।

কেন হয়?

সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির আধিক্য, ধূমপান ইত্যাদি কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সমস্যার লক্ষণগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকলে এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করলে ক্ষতিকর দিকগুলো অনেকটাই এড়ানো যায়-

চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৫৩ শতাংশ মানুষই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। ধূমপায়ীদের সংখ্যা দেশে ২১ শতাংশ। প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের রক্তে রয়েছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শর্করা, অর্থাৎ তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এছাড়াও, ৩০ শতাংশ মানুষ জ্বালানি-সংশ্লিষ্ট দূষণ ও ২২ শতাংশ মানুষ বাতাসে ভাসমান বস্তুকণার শিকার।

স্ট্রোকের ফলে বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। কারও মুখ একদিকে বেঁকে যায়। কারও হাত ঝুলে পড়ে কিংবা হাতের শক্তি কমে যায়। অনেকের আবার কথা জড়িয়ে ফেলার সমস্যা দেখা যায়। এসব লক্ষণের কোনোটি টের পেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সাহায্য নিন।

স্ট্রোক হতে পারে অল্প বয়সীদের-

অনেকেই মনে করেন, স্ট্রোক বয়স্কদের রোগ। এই ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। গত কয়েক দশকে স্ট্রোকের গড় বয়স ৭১ বছর থেকে ৬৯ বছরে নেমে এসেছে। তরুণ-যুবাদের মধ্যে (২০ থেকে ৫৪ বছর) এই হার ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯ শতাংশ হয়েছে।

সাধারণত ৪৫ বছরের কম কারোর স্ট্রোক হলে চিকিৎসকেরা তাকে যুবক বয়সীদের স্ট্রোক বলে থাকেন। বিশ্বে প্রতি এক লাখ স্ট্রোক-আক্রান্ত ব্যক্তির ১৫ শতাংশের বয়সই এই ৪৫-এর নিচে।

আপনার করণীয়-

● স্ট্রোক এড়ানোর জন্য নিজের শরীর ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচতেন হওয়ার বিকল্প নেই। পাশাপাশি মেনে চলুন কিছু নিয়ম-

● ওজন হুট করেই বেড়ে যাচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন, বাড়লে কমানোর চেষ্টা করুন।

● নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রক্তে শর্করা ও চর্বি নিয়মিত পরীক্ষা করুন।

● খাদ্যতালিকা থেকে তেল-চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার বাড়ান।

●অ্যালকোহল, ধূমপান ও যেকোনো ধরনের নেশাদ্রব্য পরিহার করুন।

● নিয়মিত শারীরিক চর্চা করুন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস থাকা ভালো।

নিজের শরীর সুস্থ রাখতে সচল হোন নিজেই। তবেই এড়ানো যাবে স্ট্রোকের মতো প্রাণঘাতী রোগকে।

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড