স্বাস্থ্য ডেস্ক
সময়ের সঙ্গে মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকাই একমাত্র উপায়। তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হলে প্রয়োজন পরীক্ষার। কিন্তু সাধারণ সর্দি-কাশির মতো লক্ষণ দেখা দিলেই মানুষ এখন বিচলিত হয়ে পড়ছেন। একটুকেই আতংকিত না হয়ে জেনে নিন কাদের এই পরীক্ষা করা প্রয়োজন-
বয়স্কদের যেসব বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত:
সংকটপূর্ণ এই সময়ে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী কারও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। এই সময়ে বৃদ্ধাবাসগুলিতে বাইরের লোকদের সঙ্গে সব ধরনের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা প্রয়োজন। তবে বহিরাগতদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
করোনার সংক্রমণে বয়স্কদের মৃত্যু হার বেশি কেন?
বয়স্কদের রক্তে শ্বেত কণিকার উপস্থিতি কম থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে। তাছাড়া শরীরে একাধিক ক্রনিক রোগের উপস্থিতি থাকলে এই ভাইরাস দ্রুত ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। ফলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ও সেপ্টেসেমিয়ার কারণে অধিকাংশের মৃত্যু ঘটে।
সর্দি-কাশি হলেই কি করোনার পরীক্ষা প্রয়োজন?
যদি কোনো বয়স্ক ব্যক্তির জ্বর, শুকনো কাশি, গলা ধরে আসার মতো উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে প্রথমেই দেখতে হবে ওই ব্যক্তি সম্প্রতি দেশে বা দেশের বাইরে সফর করেছিলেন কি না। অথবা সম্প্রতি তিনি কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন কি না। যদি এমন হয়, তবে দ্রুত সেই ব্যক্তির পরীক্ষা করা উচিত। পাশাপাশি যদি ওই ব্যক্তির এক বা একাধিক অঙ্গ খারাপ হওয়ার মতো উপসর্গ, শ্বাসকষ্ট, মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া, বুকে অস্বস্তি, ডায়েরিয়া ও জ্বরের উপসর্গ থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে বর্তমানে যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তাতে সংক্রমণ এড়াতে বয়স্ক মানুষদের রুটিন পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে না যাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে চিন্তার কারণ?
অন্য জ্বরের থেকে একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার হার অত্যন্ত বেশি। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে দুই থেকে আড়াই জনকে সংক্রমিত করতে সক্ষম। প্রায় ৮০ শতাংশ আক্রান্তের দেহে এই ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায় না অথবা খুব কম উপসর্গ দেখা যায়। উপসর্গ নেই এমন আক্রান্ত ব্যক্তিও নিজের অজান্তে ১৪ দিনে ১৬ হাজার মানুষকে সংক্রমিত করতে পারেন। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুহার খুব বেশি নয়, ২ থেকে ৩ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে কেবল ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ব্যক্তিকেই আইসিইউতে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন : আপনি করোনায় আক্রান্ত কি না জানাবে ‘সিরি’
যাদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা প্রয়োজন:
* গত ২ সপ্তাহে বিদেশ থেকে এসেছেন এবং জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ রয়েছে। * সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন কিন্তু উপসর্গ নেই, এমন ব্যক্তির ৫ এবং ১৪ দিনের মাথায় পরীক্ষা করাতে হবে। * করোনা-সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা করছেন এমন স্বাস্থ্যকর্মী, যাদের দেহে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। * জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ১০ দিন কাশির সমস্যা রয়েছে। * যারা বাড়িতে থাকা সংক্রমিত রোগীর দেখভাল করছেন।
ওডি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড