• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আতিকুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ

  অধিকার ডেস্ক

২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:৫৭
আতিকুল ইসলাম
আতিকুল ইসলাম (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের আবেদনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ নির্দেশ দেন।

ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশে বলা হয়েছে, বিএনপির মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আমার নির্বাচনী প্রচারণারত মাইক্রোফোন ভাঙচুর’ এবং ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন’ বিষয়ক গত ১৩ জানুয়ারি দাখিল করা আবেদনের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

গত ১২ জানুয়ারি মিরপুরের মাজার রোড এলাকায় প্রচারণা শুরুর পর ডিএনসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেন, তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে সেসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আতিকুল বলেন, আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। বিরোধীপক্ষকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি আজ আসার পথেই দেখলাম, ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে ভোট চাচ্ছে, আমরা তো কোনো বাধা দেইনি। বিরোধীপক্ষ মিথ্যাচার করছে। অতীতেও তারা মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে যাচ্ছি ভোট চাচ্ছি।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে চলছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর সিটিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মোট ১৯টি অভিযোগ এসেছে। এর সবগুলোই নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে জানান উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এসব অভিযোগের মধ্যে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তির বিষয়ে যা বলা হয়েছে

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৩১ নম্বর ধারার ১ উপ-ধারায় বলা আছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন।’

২ উপ-ধারায় বলা আছে, ‘কোনো রাজনৈতিক দল অথবা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন।’

আরও পড়ুন: সর্পিল ভঙ্গিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তরুণের মৃত্যু

৩২ নম্বর ধারার ১ উপ-ধারায় বলা হয়েছে, ‘এ বিধিমালার অন্যান্য বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো উৎস হতে প্রাপ্ত রেকর্ড কিংবা লিখিত রিপোর্ট হতে কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, মেয়র বা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করেছেন বা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছেন এবং অনুরূপ লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের চেষ্টার জন্য তিনি মেয়র, বা ক্ষেত্রমত, কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার অযোগ্য হতে পারেন, তা হলে কমিশন বিষয়টি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ প্রদান করতে পারবে।’

ওডি/ এফইউ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড