• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সয়েল টেস্টিং কিট ব্যবহারে উৎপাদন বেড়েছে দেড়গুণ 

  বাকৃবি প্রতিনিধি

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৪৪
বাকৃবি
জমিতে ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ ব্যবহার করছেন কৃষক (ছবি : দৈনিক অধিকার)

দেশের অধিকাংশ কৃষকই মাটিতে সারের চাহিদা না জেনে অনুমান করে জমিতে সার প্রয়োগ করে থাকেন। এতে মাটির উর্বরতার পাশাপাশি ধানের ফলনও আশানুরূপ হয় না।

সম্প্রতি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের উদ্ভাবিত মাটি পরীক্ষার বিশেষ যন্ত্র ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ ব্যবহার করছে কৃষকরা। এতে কৃষিজাত ফসল উৎপাদনে অধিক লাভবান হচ্ছেন তারা।

এ যন্ত্র ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক।

ফসলের চাহিদা অনুযায়ী সার সুপারিশ করতে বাউ সয়েল টেস্টিং কিট ভূমিকা রাখছে। এই কিটের মাধ্যমে মাটির অম্লতা-ক্ষারকতা, নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম নির্ণয় করে ফসলের জন্য সঠিক মাত্রার সার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে পরিমিত সার ব্যবহার করে কৃষকরা পূর্বের তুলনায় একই জমিতে একর প্রতি দেড়গুণ ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার দাতা সংস্থা এসিআইএআর এবং বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ধানসহ অন্যান্য ফসলের পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবস্থাপনার ওপর একটি প্রকল্প (নিউম্যান) পরিচালনা করা হয়। এ প্রকল্পের একটি অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ সদরের সুতিয়াখালী গ্রামের কৃষকরা এ সয়েল টেস্টিং কিট ব্যবহার করে আমন ধান ও অন্য শস্যজাত ফসল চাষাবাদ করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘কৃষকদের নিজস্ব চাষ পদ্ধতির চেয়ে ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ ব্যবহার করে কম খরচে ও কম সময়ে মাটি পরীক্ষা করে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করে অধিক লাভবান হয়েছেন।’ প্রকল্পের আওতায় থাকা ময়মনসিংহের সুতিয়াখালি গ্রামের কামরুল হাসান নামের এক কৃষক বলেন, ‘আমি আগে অনুমান সাপেক্ষে জমিতে সার দিতাম। এতে বেশি সার পরিমাণ প্রয়োগ করেও ভালো ফলন পেতাম না। পরে আমি এই যন্ত্রের মাধ্যমে আমার জমিতে সারের পরিমাণ জানতে পারি ও সে অনুযায়ী প্রয়োগ করি। আমার ২ একর জমিতে আগের মৌসুমে ১২০ মন ধান পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার এই পদ্ধতি মেনে একই জমিতে ১৮০ মন ধান পেয়েছি।’ ময়মনসিংহের কুষ্টিয়া ইউনিয়নের আরেক কৃষক মো. দুলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ২৪ বিঘা জমির অর্ধেকে আমি অনুমান নির্ভর সার প্রয়োগ এবং বাকি অর্ধেকে এই যন্ত্রের মাধ্যমে জানা পরিমাণ সার প্রয়োগ করি। পরিমিত সার প্রয়োগের জমিগুলোতেই আমি অধিক ফলন পেয়েছি। যারা একবার এই যন্ত্র ব্যবহার করবে, তারা বারবার এটা ব্যবহারে আগ্রহ দেখাবে।’

আরও পড়ুন : সাফল্যের শীর্ষে বেগম রোকেয়ার মেয়েরা

প্রকল্পের পিআই ও বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিন জানান, ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ এর মাধ্যমে মাটিতে কী পরিমাণ সার দিতে হবে তা খুব সহজেই জানা যায়। কৃষক মাঠে থেকেই এ পরীক্ষা করতে পারবে। মাটিতে পুষ্টি কম থাকলে সার বেশি দিতে হবে। এ কারণে সারের খরচ বাড়লেও ফলন বেশি হওয়ায় লাভ বেশি হবে। ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ ব্যবহার করে আগের চেয়ে বিঘা প্রতি ২ মণ ফলন বাড়ে ও দেড় হাজার টাকা লাভ হয়েছে কৃষকদের।

ওডি/এমআরকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড