অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
ইতোমধ্যে আড়াইশ কোটি ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অধিকাংশ রপ্তানি আদেশ বাতিল করে দিচ্ছে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তৈরি পোশাক খাতের এমন দুর্দিনে গত দুই দিনে বন্ধ হয়ে গেছে সাতটি কারখানা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ জানায়, দেশীয় মুদ্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। প্রতি মাসে গড়ে এই পরিমাণ মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। এ পরিস্থিতিতে গত দুদিনে ৭টি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।
বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম বলেন, বুধবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ অধিকাংশ দেশে ৯৩৬টি কারখানার ৮০০ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২.৫৮ বিলিয়ন ডলার। এ কারখানাগুলোতে ১৯ লাখ ২০ হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
বিজিএমইএ সূত্র জানায়, কয়েকটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান রপ্তানি আদেশ বাতিল করেনি। এই ক্রেতাদের পোশাকই এখন উৎপাদনের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো বাদ দিলে বাকি কোনো কারখানায় এখন আর কাজ নেই। নতুন কোনো রপ্তানি আদেশও নেই। যেকোনো সময় যেকোনো কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তৈরি পোশাক খাতের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ ও আমেরিকা। সেখানে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল কিংবা স্থগিত করতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ইউরোপ-আমেরিকায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে না এলে ক্রয়াদেশ বাতিলের পরিমাণ বাড়বে। আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রুবানা হকের সাক্ষাৎ তারা বলেন, একদিকে ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হচ্ছে, অন্যদিকে নতুন করে ক্রয়াদেশও আসছে না। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম এই খাতটি। এই অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন দেয়াও সম্ভব হবে না। তা হলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড