• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এর আগে পৃথিবীর বুকে বিপর্যয় এনেছিল যেসব মহামারি

  ফিচার ডেস্ক

১৯ মার্চ ২০২০, ১৩:১৬
মহামারি
স্প্যানিশ ফ্লু আক্রান্ত রোগীরা (ছবি- সংগৃহীত)

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল পর্যন্ত এক দিনে ৯৭৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৯৬১ জনে পৌঁছেছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৫ হাজার ৬৭৩ জন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীন ছাড়াও বিশ্বের মোট ১৭৩টি দেশে মরণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া ঝুঁকিতে আছে আরও অনেক দেশ। এতে বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। যাদের মধ্যে ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ভাইরাসজনিত মহামারি কিন্তু এই প্রথম নয়। আর আগেও পৃথিবীতে এসেছিল বেশ কিছু মহামারি। যা কেড়ে নিয়েছিল শত শত প্রাণ। পুরো পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল এসব ভাইরাসের আক্রমণে।

স্প্যানিশ ফ্লু

১৯১৮ সালে পৃথিবীতে আক্রমণ ঘটিয়েছিল স্প্যানিশ ফ্লু। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যায় এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে ৫-১০ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। স্প্যানিশ ফ্লুয়ের জন্য দায়ী ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টাইপ এ (টাইপ এ, এইচ১এন১)। আক্রান্তদের অধিকাংশই ছিল ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মৃতের সংখ্যার চেয়ে এই ফ্লুতে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেশি।

এশিয়ান ফ্লু

সিঙ্গাপুরে ১৯৫৭ সালে দেখা দেয় মহামারি এশিয়ান ফ্লু। এর জন্য দায়ী ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (টাইপ এ, এইচ২এন২)। বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটায় এই ভাইরাস।

হংকং ফ্লু

১৯৬৮ সালে বিশ্বজুড়ে আক্রমণ ঘটায় হংকং ফ্লু। কেবল হংকংয়েই এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয় ৫ লাখ মানুষ। এরপর তা করোনা ভাইরাসের মতোই ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে। ভিয়েতনাম থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে মার্কিন সৈন্যরা এই ভাইরাস দেশে বয়ে নিয়ে যায়। হাজার হাজার আমেরিকান প্রাণ হারান এই ফ্লুয়ের কারণে।

সোয়াইন ফ্লু

২০০৯ সালে মেক্সিকো থেকে সূত্রপাত ঘটে সোয়াইন ফ্লুর। বিশ্বের প্রায় ২ লাখ মানুষ এই ফ্লুর আক্রমণে মারা যান। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল পোষাপ্রাণিরাও।

সবচেয়ে মারাত্মক ভাইরাস এইচআইভি

এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে যত ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো এইচআইভি। এই ভাইরাসের কারণে এইডস রোগ ছড়ায়। এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই একে মারণব্যধিও বলা হয়। সর্বপ্রথম ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এইচআইভি আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এখন পর্যন্ত এই রোগে সারা বিশ্বে ৭ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ কোটি ২০ লাখ।

মহামারি ছিল পোলিও

বর্তমানে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও একসময় তা ছিল না। তখন এই রোগটিও মহামারি সৃষ্টি করেছিল। ১৮৪০ সালে জার্মান অর্থোপেডিক সার্জন জ্যাকব হেইন সর্বপ্রথম পোলিওমাইলিটিজ বা পোলিও চিহ্নিত করেন। পোলিও ভাইরাস উপস্থিতি শনাক্ত করেন কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার।

আরও পড়ুন : এই ৬ জিনিস স্পর্শ করলেই হাত ধুয়ে নিন

উনিশ শতকের শেষের দিকে ইউরোপ এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে পোলিও ছড়িয়ে পড়ে। বিশ শতকে এসে রোগটিকে শিশুদের প্রধান ভয়ানক রোগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গ্রীষ্মকালে এ রোগ বেশি দেখা দিত। হাজারও শিশু ও কিশোর পোলিওর কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতো।

১৯৫০-এর দশকে পোলিও টিকা আবিষ্কার হলে এই আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসে।

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড