অধিকার ডেস্ক
ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তেমন কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই অকপটে সব বলে দিচ্ছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে বহিষ্কৃত এই যুবলীগ নেতা সম্রাট এরই মধ্যে চারজন গডফাদারের নাম বলেছেন। যেসব গডফাদারের নাম বলেছেন, তাদের নাম এর মধ্যে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীমও বলেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, র্যাবের কাছে রিমান্ডে থাকা সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে যেসব গডফাদারের নাম বলেছেন, তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। অকাট্য প্রমাণ পেলে খুব দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় এনে সম্রাটের মুখোমুখি করা হবে।
জানা গেছে, এছাড়া গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা বিদেশে অর্থপাচারের পাশাপাশি অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রমাণ সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। তথ্যের প্রমাণ পেলেই তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মাদক ও অস্ত্র আইনের দুটি মামলায় সম্রাটকে দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকেও ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রিমান্ডের চতুর্থ দিন চলছে।
এ দিকে সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের ৩০ দিন পার হয়েছে গতকাল শুক্রবার। এই অভিযানে ২২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীমসহ সুপরিচিত ৮ জন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদের যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতি মাসে ঢাকার বাইরেও যেতেন জুয়া খেলতে।
যুবলীগ নেতাদের আটকের পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে রবিবার দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব।
এছাড়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই সম্রাটের সহযোগী আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের অফিসে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়।
র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় ৭ অক্টোবর সম্রাটকে আসামি করে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত সম্রাটকে দশ দিনের এবং আরমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড