• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাংলাদেশিকে খুঁজছে পুলিশ, ইউক্রেনীয়দের বাঁচাতে দিল্লি থেকে তৎপরতা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন ২০১৯, ১৬:০৫
বাংলাদেশি যুবক
বাংলাদেশি সেই যুবক (ছবি : সংগৃহীত)

ছবির যুবককে খুঁজছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি এই যুবক সন্দেহভাজন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, গত ৩০ মে ইউক্রেনের সাত নাগরিক যখন বিমানবন্দরে নামেন, তখন আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ক্যানপির গেট পেরিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন ওই যুবক। পরে সবাই একসঙ্গে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর ওই যুবককে সবার থেকে আলাদা হয়ে ভিন্ন দিকে যেতে দেখা যায়। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সন্দেহ, ওই যুবক হয়ত গাড়ির দিকে যাচ্ছিল। গাড়ি নিয়ে সে ইউক্রেনীয়দের তুলে নিয়ে যায়।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এটিএম জালিয়াতির এই চক্রের সঙ্গে দেশের বড় একটি সিন্ডিকেট জড়িত থাকতে পারে। বিদেশি ওই সাত যুবকের ছয়জন গ্রেফতার হলেও, ভিতালি নামে ইউক্রেনীয় নাগরিক পলাতক। গ্রেফতাররা উত্তোলন করা অর্থ সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের হস্তান্তর করে দিয়েছেন। এরা খুবই চতুর। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিছুতেই জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করছেন না। তবে বহু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন বলেন, সিন্ডিকেটটির সব সদস্যকে শনাক্ত করতে নিরন্তর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে পুরো রহস্য উদ্ঘাটন হবে। গ্রেফতারদের দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এখনো তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়নি। তার আগে তথ্য-প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে ও ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে জালিয়াতির প্রক্রিয়া জানার চেষ্টা চলছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এটিএম জালিয়াতির চক্রটির সঙ্গে দেশি-বিদেশি একটি বড় সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। গ্রেফতাররাও খুব চতুর। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের দৃশ্য দেখালেও তা অস্বীকার করছেন। জালিয়াতির পরপরই তারা বাংলাদেশি মুদ্রাগুলো অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশি ওই যুবক ও পলাতক ইউক্রেনীয় নাগরিক ভিতালিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। বাংলাদেশি যুবককে ধরা গেলে দেশি সিন্ডিকেটের ব্যাপারে জানা যাবে। ভিতালিকে ধরা গেলেও অনেক তথ্য জানা যাবে। উত্তোলন করা টাকাগুলো কোথায় সেটিও জানা যেতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, গ্রেফতার ছয় ইউক্রেনের নাগরিকদের একজন ভ্যালেনটাইন। তার কাছ থেকে চারটি পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। জালিয়াতির কারণেই সে একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করত।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ইউক্রেনের নাগরিকদের আদালতে সোপর্দ করা হলে একজন আইনজীবী তাদের হয়ে ওকালতনামা নিতে আসেন। কিন্তু প্রথমে ইউক্রেনের নাগরিকরা ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেননি। পরে ইউক্রেনের নাগরিকদের ওকালতনামা এনে তাদের জামিন আবেদন করা হয়।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, হয়ত বাংলাদেশের কোনো বড় সিন্ডিকেট জামিন করানোর ব্যবস্থা করছে।

ইউক্রেনের নাগরিকদের আইনজীবী এফএম মাসুম জানান, দিল্লি থেকে ইউক্রেন দূতাবাসের একজন প্রথম সচিব তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। কারাগারে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করার জন্য দিল্লির ইউক্রেন দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগও করা হচ্ছে।

গ্রেফতাররা নিজ দেশের ‘স্পোর্টসম্যান’ বলে দাবি করেন এফএম মাসুম।

ওডি/এমআর

অপরাধের সূত্রপাত কিংবা ভোগান্তির কথা জানাতে সরাসরি দৈনিক অধিকারকে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড