• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সিটিংয়ের নামে ফিটনেসবিহীন বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়!

  আয়াজ উর রাহমান

০৬ মে ২০১৯, ১০:২০
ইউনাইটেড পরিবহন
সদরঘাট টু মিরপুরগামী ইউনাইটেড পরিবহনে যাত্রীদের থেকে ভাড়া আদায় করছে বাসের হেল্পার। (ছবি : দৈনিক অধিকার)

রাজধানীর সদরঘাট বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকেই ভিড় জমে কর্মমুখী মানুষের। সিটিংয়ের নামে ফিটনেসবিহীন গাড়িতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহনগুলোতে। এতে দুর্ভোগে পরে সাধারণ যাত্রীরা।

সোমবার (৬ মে) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর সদরঘাটের জর্জ কোর্ট এলাকার বাসস্ট্যান্ডে এমন চিত্র সরেজমিনে দেখা যায়। এ সময় দৈনিক অধিকারের অনুসন্ধানে এক বাসে উঠে যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র সরেজমিনে দেখা যায়।

দুর্ভোগে পরা যাত্রীরা দৈনিক অধিকারের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বাস থাকলেও যাত্রী উঠানো নিয়ে ঝামেলা করছে। বলে ডাইরেক্ট যাবে, ভাড়াও চাচ্ছে অনেক বেশি।

সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী ইউনাইটেড পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো-জ ১১-২২৮৭) দৈনিক অধিকারের তদন্তে দেখা যায় এমন চিত্র। পরিবহনের হেল্পারকে ভাড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে জবাবে সে বলে, মিরপুর ১০ ডিরেক্ট যাব, ভাড়া ৪০ টাকা। নির্ধারিত ভাড়ার মূল্য কত জিজ্ঞেস করলে ওই হেল্পার বলে, ৩০ টাকা। তবে ১০ টাকা করে বেশি ভাড়া নেয়ার কারণ কী জিজ্ঞেস করলে হেল্পার বলে, ভাই এক দিনই তো। চায়া লইতাসি।

পরিবহনটিতে ওঠা গুলিস্তানগামী এক নারী যাত্রী তসলিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সকাল সকাল ফাইজলামি শুরু করসে। বলতাসে, ডাইরেক্ট যাইবো, গুলিস্তানের যাত্রী উঠাইবো না। এসবের মানে কী? ডাকাতি শুরু করসে এগুলো।

অভিযোগে এই নারী আরও বলেন, ঝড়ের পর সদরঘাট টার্মিনালে অনেকে বাড়ি থেইকা ফিরসে তো। দেখসে অনেক যাত্রী। তাই ইচ্ছা কইরা ফাইজলামি করতাসে। ডাকাতি কইরা টাকা লইতাসে।

বাসটিতে ওঠা বাংলামোটোরগামী আরেক যাত্রী মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, জোড় করে ঠেইলা ধাক্কায়া বাসে উঠলাম। আমি প্রতিদিনই সদরঘাট থেকে বাসে বাংলামোটর অফিসে যাই। সব সময় এরকম হয় না। তবে মাঝে মাঝে ওরা এমন করে। বাংলামোটরের ভাড়া ১৫ টাকা। রাখতাসে ২৫ টাকা।

গাড়িটি সিটিং কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব সময়ই সিটিং ভাড়া রাখে। তবে যায় লোকাল কইরা। কোনোদিন দেখি নাই সিটিং করে যায়। কিন্তু ভাড়া সিটিংই রাখে। আর আজকে তো সিটিং ভাড়া যেটা নির্ধারিত আছে, সেটার চেয়েও অতিরিক্ত ১০ টাকা বেশি ভাড়া চাইতাসে।

তিনি অভিযোগে আরও বলেন, গাড়িগুলো একটারও ফিটনেস নাই। আপনি দেখেন প্রত্যেকটা গাড়ি পুরাতন এবং ভাঙাচুড়া। লক্কর ঝক্কর গাড়ি আর বলবো সিটিং বাস। ভাড়াও রাখবে সিটিং। কয়েকদিন আগে দেখলাম সার্জেন্টরা এদের ধরছে, কিন্তু এখন তো যেই লাও সেই কদু। কয়েকদিন দেখি কঠোর আইন প্রয়োগ শুরু করসে, আবার কয়েকদিন পর আগের মতোই হইয়া যায়। এইভাবে কোনোদিন ও ঠিক করা সম্ভব না। ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো রোডে কেন, এগুলা প্রশাসনকে আরও কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সদরঘাট এলাকার আওতাধীন কোতোয়ালী থানার এসি ধীমান কুমার দাস দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘আমরা এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত অবশ্যই করব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কোনো গাড়ির যদি ফিটনেস না থাকে তাহলে অবশ্যই তা ডাম্পিং এ চলে যাবে।’

ওডি/এআর

অপরাধের সূত্রপাত কিংবা ভোগান্তির কথা জানাতে সরাসরি দৈনিক অধিকারকে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড