• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মিন্নির বিষয়ে ইন্টারফেয়ার করবে না হাইকোর্ট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জুলাই ২০১৯, ১৮:৫৭
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আদালত থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে (ফাইল ফটো)

চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবা (১৮ জুলাই) হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। এসময় হাইকোর্ট জানান, বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।

বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসানের একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন

মিন্নির বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হওয়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করে আইনজীবী ফারুক হোসেন আদালতে বলেন, মিন্নিকে বাদীর সবচেয়ে আস্থাভাজন হিসেবে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে। অথচ তাকেই ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তোলা হলো। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের দেখা উচিত। কোনো আইনজীবীও তার পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন না। এসময় আদালত বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। এটাতে আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারি না।

আইনজীবী বলেন, তদন্ত হবে। কিন্তু সে তো সাক্ষী। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আদালত বলেন, সে তো এখন গ্রেফতার। পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে স্পিসিফিক অ্যালিগেশন আছে। এখন আপনি কিছু করতে হলে ফৌজদারি নিয়ম মেনে করুন। প্রোপার চ্যানেলে আসুন। আমরা তদন্তে ইন্টারফেয়ার করতে পারি না।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মিন্নিকে নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। ওইদিনই বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। পরে দ্বিতীয় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হত্যায় মিন্নির সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

২৭ জুন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

পুলিশ সুপারের বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয়, এ পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামায় আটজন ও সন্দিগ্ধ সাতজনসহ ১৫ জনকে (মিন্নিসহ ১৬ জন) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, ৩ জন রিমান্ডে আছে। বাসস।

ওডি/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড