• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যা বলা হয়েছে খালেদার মেডিকেল রিপোর্টে

  আদালত প্রতিবেদক

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:২৩
খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

কারাহেফাজতে চিকিৎসাধীন দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থার প্রতিবেদন হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়েছে।

বৃস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চে এ প্রতিবেদন নিয়ে আসেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এর পরই রিপোর্টটি আদালতে পড়ে শোনান বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, অ্যাজমা, বাতজ্বর ও কাশিসহ ব্যাক পেইনে ভুগছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাকে অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট দেওয়ার বিষয়ে তার মতামত জানতে চেয়েছিল সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সম্মতি দেননি খালেদা জিয়া।

আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া কেন অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের সম্মতি দেননি সেটি জানা দরকার। হয়তো এই ট্রিটমেন্ট গ্রহণে তার জীবন শঙ্কায় পড়তে পারে। এই দিক বিবেচনায় হয়তো তিনি অনুমতি দেননি।

বিএনপি চেয়ারপারসনেরর আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের আইনজীবীদের মধ্যে এ রিপোর্টের বিষয়ে পরামর্শ করা দরকার।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, আপনারা মেডিকেল প্রতিবেদন চেয়েছিলেন, আমরা সেই রিপোর্ট তলব করেছি। রিপোর্ট আদালতে এসেছে। এখন ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী আদেশ দেব।

জবাবে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের একটি সম্পূরক আবেদন রয়েছে। আমরা আবেদনটি আপনার আদালতে দিতে চাই। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘কোনো আবেদন নেওয়া হবে না। আমরা আজকেই আদেশ দেব।’

তখন জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের সম্পূরক আবেদনটি উপস্থাপন করতে দেন। তার পর শুনে আদেশ দেন। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

আরও পড়ুন : মশা যেন ভোট না খেয়ে ফেলে : প্রধানমন্ত্রী

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দাঁড়িয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার এই রোগগুলো দীর্ঘদিন ধরেই আছে। যখন কোনো বন্দি কারাগারে থাকেন, তখন সরকারেরও তার বিষয়ে উদ্বেগ থাকে। এ পর্যায়ে কোনো সম্পূরক আবেদন দেওয়ারও সুযোগ নেই।

পরে আদালত জামিন শুনানি দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।

ওডি/এএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড