শরীয়তপুর প্রতিনিধি
দৈনিক অধিকারে ‘শরীয়তপুরে ভুয়া বাদী দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহার’ -এই শিরোনামে একটি খবর প্রকাশের পর সেই মামলাটি পুনরায় চালু করেছেন আদালত।
খবরটি প্রকাশের পর সংশ্লিষ্টদের নজরে আসার পর মামলায় নিযুক্ত অ্যাডভোকেট মাঈনুল ইসলাম অদুদের মাধ্যমে সোমবার (২৪ জুন) যৌতুক মামলাটি পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন বিচারক।
সোমবার (২৪ জুন) আসল মামলার বাদী সেলিনা দৈনিক অধিকারকে জানান, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রাজিব ও তার সহকারী সাহেদ ও অ্যাডভোকেট মাঈনুল ইসলাম অদুদের সহকারী আবু বক্কর মিলে আসামি শাহ জালালের পক্ষ নেন। তারা অন্য একটি মেয়েকে সেলিনা সাজিয়ে আদালতে হাজির করেন। এবং মামলা উত্তোলন করেন। পরের দিন আমি আদালতে হাজির হলে বিচারক বিষয়টি জানতে পারেন। আমার এই মামলাটি শুনানির জন্য ২২ জুলাই দিন ধার্য করেন।
এ ব্যাপারে জেলা বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, মামলাটি পুনরায় চালু হয়েছে। আর দোষীদের বিচার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে সখিপুর আমলী আদালতে ভুয়া বাদী দেখিয়ে করিয়ে যৌতুক মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সখিপুরের বালাকান্দি গ্রামের সেলিনা বেগমের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা কাবিনে বিবাহ হয় শাহজালালের। বিয়ের কিছু দিনপর শাহজালাল সেলিনার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে যৌতুক হিসেবে টাকা চাইতে থাকেন। এমনকি সেলিনাকে টাকার জন্য মারধর করেন। তাই সেলিনা স্বামী শাহজালালের নামে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল কোর্টে সখিপুর আমলি আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি অ্যাডভোকেট মাঈনুল ইসলাম অদুদের হলেও। অ্যাডভোকেট অদুদের স্বাক্ষর নিয়ে তার অনুপস্থিতিতে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রাজিব ও তারই মোহরার সাহেদ ভুয়া বাদী দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহার করান। অপরদিকে শাহজালাল সেলিনার বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে কাবিন বাতিলের মামলা করেন।
পরের দিন ২৮ মে যখন প্রকৃত সেলিনা কোর্টে আসেন। বিষয়টি বিজ্ঞ বিচারক বুঝতে পেরে মামলাটি পুনরায় বিচার কাজ শুরু করার আদেশ দেন।
এ নিয়ে সাহেদ মোহরার ও শফিকুল ইসলাম রাজিব উকিল, সেলিনাকে বিভিন্ন উল্টা-পাল্টা কথা বলেন। তখন সেলিনার সঙ্গে থাকা অভিভাবক মেনা হাওলাদার অন্য এক উকিল দিয়ে মামলার খোঁজ খবর নিলে জানতে পারেন যে, ভুয়া বাদী দেখিয়ে গত ২৭ মে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তখন রাজিব উকিলের চেম্বারে এসে দেখেন চেম্বার তালা মেরে সবাই চলে গেছে।
এ নিয়ে বাদী সেলিনা অভিযোগ করেন, ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় অ্যাডভোকেট রাজিবের কাছে যাই। উকিল ও মুহুরী সাহেদের কারণে আমাদের এই অবস্থা। আমি এখন স্বামী সংসার ছাড়া। আমার সঙ্গে উকিল-মুহুরি যে প্রতারণা করেছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই।
সেলিনার স্বামী শাহ জালাল বলেন, দুই লাখ টাকার কাবিননামা হওয়ার কথা ছিল। শফিকুল ইসলাম রাজিব উকিল ও তার মোহরার সাহেদ এবং মোহরার আবুবকর সেলিনাকে ফুঁসলিয়ে আমার অজান্তে ১০ লাখ টাকার কাবিননামা করে। আমি এর বিচার চাই।
সূত্র জানায়, সাহেদ মুহুরি শরীয়তপুরের নিকাহ রেজিস্টার কাজী মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে ভুয়া সেলিনা বানিয়ে খোলা তালাক দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর ভুয়া বাদী দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহার
ওডি/এসএএফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড