মো. রুম্মান হাওলাদার, পিরোজপুর
পিরোজপুর জেলার পেয়ারা, আমড়া ও মাল্টার পর বেশ কয়েক বছর ধরে আমলকি চাষেও লাভবান হয়ে আসছিল এখান কার কৃষকরা। এতে প্রতি বছর বাড়ছিল আমলকি চাষ। এ অঞ্চলের আমলকি খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছিলেন পাইকাররা। গাছ থেকেই আমলকি কিনে নিয়ে যেতেন তারা। তবে এ বছর দেখা গেছে ভিন্ন দৃশ্য।
পাইকারি ক্রেতাদের সঙ্গে দামে বনিবনাত না হওয়ায় এবার গাছেই নষ্ট হচ্ছে আমলকি। প্রতি বছর আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আমলকির মূল মৌসুম ধরা হয়। এবার দাম কম থাকায় অনেকেই আমলকি বিক্রি করতে পারেননি। এখন গাছেই নষ্ট হচ্ছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটি।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণের জেলাটিতে এক সময় শুধু ওষুধি ফল হিসেবে আমলকির গাছ লাগানো হলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। অনাবাদী জমিতে আমলকি চাষ করে সফল হওয়ার প্রমাণ দেখিয়েছেন জেলার চাষিরা। বাড়ির আঙিনায় আমলকি গাছ রয়েছে অনেকেরেই।
আমলকির উৎপাদন ও দাম ভালো হওয়ায় কয়েক বছর ধরেই লাভের মুখ দেখে আসছিল সবাই। তবে এবার লাভের মুখ তো দূরে কথা আমলকিই বিক্রি করতে পারেননি অনেকে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের চাষি মনির শেখ ও মামুন শেখ জানান, গত বছর করোনার মধ্যেও আমলকি বিক্রি করেছেন প্রায় লাখ টাকার। ফলটি আগের চেয়ে অনেক বেশি চাষ হচ্ছে। এ জেলার আমলকি ঢাকার ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। তবে এই বছর পাইকাররা গ্রামে যাচ্ছেন না তেমন, গেলেও ন্যায্য দাম দিচ্ছেন না। এখন বিক্রি করতে না পারায় গাছেই নষ্ট হচ্ছে ফল। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটির উৎপাদন দিন দিন বাড়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখছিল পিরোজপুর কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন : বরিশালে ১০ বছর পর ফাঁসির আসামি গ্রেফতার
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, জেলায় কম করে হলেও প্রতিটি বাড়িতে ২-৩টি করে আমলকি গাছ দেখা যায়। এখন অনেক পরিবার বাণিজ্যিকভাবে আমলকি চাষ করায় ৪৪ হেক্টর জমিতে এ বছর উৎপাদন হয়েছে ৪৫৮ টন আমলকি।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড