মিলন ইসলাম, বাসাইল, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার জমিতে কাটুই পোকা আক্রমণ করেছে। পোকায় কেটে দিচ্ছে সরিষার চারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাসাইল সদর ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পোকায় সরিষার চারাগাছ কেটে ফেলছে। সরিষার চারাগাছে তিন-চার পাতা হওয়ার পর হানা দিয়েছে পোকা। যেখানে চারার সংখ্যা কম থাকে সেই জায়গাতেই বেশি কেটে ফেলছে।
জিকতালীপাড়া এলাকার চাষি বিশ্বনাথ সরকার বলেন, আমি ১৫০ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। আমার প্রায় জমিতে পোকা ধরেছে। যেখানে সরিষার চারা কম সেখানেই বেশি কাটে। এখন যে পুনরায় সরিষা ছিটাবো, তার কোনো উপায় নেই।
রাশড়া গ্রামের চাষি ভজন সরকার বলেন, আমার একশ শতাংশ জমিতে পোকায় আক্রমণ করেছে। খুব আশা নিয়ে সরিষা আবাদ করেছি।কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কী করবো, বুঝতে পারছি না। পুনরায় সরিষা ছিটাবো, সে উপায়টাও নেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গতবছর চার হাজার আটশত বিশ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। এ বছর চার হাজার আটশত বিশ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজনিন আক্তার বলেন, বাসাইল উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার আটশ বিশ হেক্টর। ইতোমধ্যে নব্বই শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, কৃষকরা আমাদের কাছে আসছেন, চাষিদের জমিতে চারা গজানোর পর সরিষার কাটুই পোকা চারাগাছের গোড়া কেটে দিচ্ছে। পোকাটি দিনের বেলায় মাটির নিচে থাকে, রাতের বেলায় চারাগাছের গোড়া কেটে দেয়।
আরও পড়ুন : দুই যুগেও শান্তি আসেনি পাহাড়ে
তিনি আরও বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। চাষিদের পোকা দমনের জন্য সাধারণত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কীটনাশক স্প্রে করার সময় অবশ্যই কৃষকরা যেন সন্ধ্যার আগে স্প্রে করেন। ডার্সবান, নাইটো এছাড়াও অনুমোদিত কীটনাশক রয়েছে, প্যাকেটের গায়ে যে নির্দেশনা দেওয়া আছে সেগুলাে মেনে স্প্রে করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
ওডি/এএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড