আত্রাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গুড়নই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। প্রায় পাঁচ যুগের আগে তৈরি পুরাতন ওই ভবনের চারটি কক্ষ ব্যবহারের অযোগ্য হলেও এটি মেরামত বা সংস্কারও করা হয়নি।

এলাকাবাসীরা জানায়, সরকারিভাবে আনুমানিক ১৯৬০ সালের দিকে চার কক্ষ বিশিষ্ট ওই ভবনটি নির্মিত হয়। বর্তমানে ভবনের ছাদ নষ্ট হয়ে খসে পড়ছে এর পলেস্তারা। একই সাথে নষ্ট হয়ে খসে পড়ছে দেয়ালের ইট-সিমেন্ট। ফলে যে কোনো সময় বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের পাশাপাশি পরে নব্বই দশকের শেষে তিন কক্ষের একতলা আরও একটি ভবন নির্মিত হয়। তবে বিদ্যালয়ের সাতটি কক্ষের মধ্যে বর্তমানে চারটিই রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। করোনার প্রভাব কমে আসায় খুলেছে বিদ্যালয়। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান নিয়ে উৎকণ্ঠায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, সাত শিক্ষক ও কর্মচারী।

গত বছর বন্যায় বিদ্যালয়ের তিনটি গাছ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় মূল ভবনের সাথে নদী এসে লেগে গেছে। ফলে দ্রুত নদীভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারেও বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে সকলেই শঙ্কায় রয়েছে। বিদ্যালয়ের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন করে ভবন নির্মাণ করা না হলে যে কোনো সময় বড় কোনো অঘটন ঘটতে পারে। এ ছাড়া নদী ভাঙন সমস্যাটিও একটি বড় সমস্যা। তিনি দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন : মেশিনের চাকা ঘুরলেও ঘুরে না রাবেয়ার জীবন চাকা

এ দিকে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর জাহান খাতুন দৈনিক অধিকারকে বলেন, জরাজীর্ণ ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। কেননা মোট সাতটি ঘরের মধ্যে চারটি ঘরের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আবার বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের ফলে প্রধান ভবনটি নদীগর্ভে বিলীনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে চরম সমস্যায় রয়েছি।

এ ব্যাপারে দৈনিক অধিকারকে আশ্বাস দিয়ে আত্রাই উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, বিদ্যালয়টির পুরাতন ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সাথে ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।

ওডি/নিলয়