• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

খামারিদের সরকারি প্রণোদনায় অনিয়ম ও দুর্নীতি

  মো. মনোয়ার হোসেন রুবেল, ধামরাই (ঢাকা)

২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৫
অফিস
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ঢাকার ধামরাইয়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গবাদি পশু পালক, হাস মুরগী পালনকারী খামারিদের মাঝে সরকার কর্তৃক প্রণোদনার টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের অধীন মাঠ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রকাশ পাবে বলে সাংবাদিকদের তথ্য দিতেও নারাজ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করেও মিলেনি কোনো তথ্য।

মুরগির খামার নেই বা যার খামার দেখিয়ে একবার প্রণোদনার টাকা দিয়েছে দ্বিতীয় ধাপেও সেই খামারেই প্রণোদনার টাকা দেওয়া হবে একই পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম দেখিয়ে। এর বিনিময়ে খামারিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন তথ্য যাচাই করার জন্য ধামরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে প্রণোদনা পেয়েছে তাদের লিষ্ট দিতে রাজি নন উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার।

প্রায় দেড় মাস পূর্বে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমানের কাছে প্রণোদনা পেয়েছেন তাদের লিষ্টটা চাওয়া হয়। তখন তিনি তা দিতে রাজি হন না।

কেনো দিবেন না জানতে চাইলে তিনি তথ্য অধিকার বিধি মালায় তথ্যের জন্য লিখতভাবে আবেদন করতে বললেন। পরে সেই মোতাবেক তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করার একমাসেও মিলেনি তথ্য।

নানাভাবে ঘুরানোর পর তথ্য দিতে তালবাহানা করেন। এক মাস পরে তথ্যের জন্য গেলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান উপজেলার যে কোনো একটি ইউনিয়নের তথ্য দিতে রাজি হন। কিন্তু আবেদনে ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

ঢাকা জেলা প্রাণী সম্পদ ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ- প্রকল্প পরিচালক( ডিপিডি) মো. মোস্তানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানান পুরো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।

এনআইডি, ফোন নম্বর ও ঠিকানা দেওয়া যাবে না। শুধু নাম নিতে পারেন। এই বলে তিনি তথ্যের বিষয়ে আর কোনো কথা না বলে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। কি কারণে তিনি তথ্য সকল তথ্য দিতে পারবেন না তার কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

প্রথম ধাপের প্রণোদনার টাকা বিতরণে ব্যপক দূর্নীতি উঠে আসে। জানা যায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো বেশি দুর্নীতি হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে প্রণোদনার টাকা বিতরণে উপজেলার ভাড়াড়িয়া ইউনিয়ন, ধামরাই ইউনিয়ন, পৌরসভা, নান্নার ইউনিয়নসহ প্রায় ইউনিয়নেই অনিয়ম খোঁজে পাওয়া যায়। একজনের খামার দেখিয়ে আরেক জনের নামে টাকা দেয়া হয়।

আবার যার নামে টাকা আসার কথা তার নামে না এসে আরেক জনের মোবাইল নাম্বারে। ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে যার কোনো খামার নাই তার নামেও হয়েছে প্রণোদনার তালিকা। ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলমের নামেও প্রণোদনার টাকার তালিকা তৈরি করা হয়। কিন্তু তিনিও কোনো প্রণোদনার টাকা পায়নি।

ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সোলাইমান হোসেন জানান, আমার নামে তালিকা হয়েছে। অনেকেই টাকা পেয়েছে কিন্তু আমি কোনো টাকা পাইনি। একাধিক বার প্রাণী সম্পদ অফিস এবং স্থানীয় মাঠকর্মী ভুলি মেম্বারের কাছে গিয়েছি। কোন লাভ হয় নি।

এবিষয়ে ঢাকা জেলা প্রাণী সম্পদ ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ- প্রকল্প পরিচালক( ডিপিডি) মো. মোস্তানুর রহমান বলেন, আমার জানা মতে কারো ব্যক্তিগত তথ্য দেয়ার সুযোগ নাই। এটা আমি শুনেছি ভুলও হতে পারে আমার। এবিষয়ে আমার প্রকল্প পরিচালককে আপনি ফোন করতে পারেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন : লামায় ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে

ধামরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান আপনার সাথে কথা বলেই অর্ধেক তথ্য দেয়া যাবে বলে জানান।

তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করার পরও কেন আসলে তথ্য পাবো না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না না কেন তথ্য পাবেন না। তাদের কাছে তো তথ্য আছে দিবে না কেন? আপনারা আমরা তো একই সহযোদ্ধা। আপনারা লেখার মাধ্যমে আমরা কাজের মাধ্যমে।

ওডি/এসএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড