শেরপুর প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধের পর অবশেষে খোলা হয়েছে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা। এতে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেল বিদ্যালয়। সরাসরি পাঠদানে অংশ নিয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢুকেই খুশিতে আত্মহারা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। মনে হচ্ছে বছরের প্রথম দিনে নব উদ্যামে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করাচ্ছে শিক্ষকরা। স্কুলের ফটকে রাখা আছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। দেওয়া হচ্ছে মাস্ক। ক্লাস চালু হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ-উল্লাস দেখা গেছে। ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন অভিভাবকরাও।
শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরাইয়া মিলোজ এনি জানান, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি ছিল। স্কুল খুলবে- এই প্রতিক্ষায় তারা অপেক্ষা করেছিল আগে থেকেই। তাই প্রথম দিনেই শতভাগ উপস্থিতি।
শেরপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা আজমেরী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি ছিল শতভাগ ছাত্র/ছাত্রী। করোনায় দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার পরও আমাদের ছাত্র/ছাত্রী কমেনি। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক দিন পর বিদ্যালয় খোলায় শিক্ষার্থীরা খুবই আনন্দিত।
শেরপুর সদর উপজেলার ফসিহ উল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মাদরাসায় তারা স্বাস্থবিধি মেনে ক্লাস শুরু করেছেন। তিনি বলেন, আজ প্রথম দিনে উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও আগামী দুই একদিনের মধ্যে শতভাগ হবে আশা করছি।
উত্তর গৌরিপুর মডেল স্কুলের (কেজি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা স্বাস্থবিধি মেনে স্কুল শুরু করেছি। আমাদের স্কুলে অনেক শিক্ষার্থীই আজ আসেনি। তবে কী কারণে অনুপস্থিত তারা তা আমাদের জানা নেই।
শেরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফির রহমান প্রান্ত বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধের পর স্কুলে এসে আমাদের খুব ভালো লাগছে। আমরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতে চাই। আমরা আমােদের স্যার/ম্যাম ও শিক্ষার্থীদের সাথে অনেকদিন পর দেখা করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন : ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে অর্থ আত্মসাৎ
বিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সন্তুষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পরিবেশ ভালো ছিল।
ওডি/এএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড