রয়েল আহমেদ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার ঘোষণায় প্রাণ ফিরে পাচ্ছে স্কুলগুলো। সেইসাথে ব্যস্ত সময় পার করছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকাসহ স্টাফরা। উপজেলার ১৮১টি স্কুলের অভিভাবকসহ শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী স্কুল খোলার খবরে সবাই খুশি। কেউ স্কুলের চেয়ার টেবিল কেউবা দা কাচি হাতে নিয়ে স্কুলের আনাচে কানাচের আগাছা পরিস্কার করছে। শিশুদের পদচারনায় আবার মুখরিত হয়ে উঠবে স্কুল প্রাঙ্গন এই আশায় শিক্ষক শিক্ষিকাসহ বেশীর ভাগ স্টাফরা স্কুলে আসতে শুরু করেছে। তারা স্কুলের সেই চিরচেনা রুপে ফিরে যেতে চাই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে বেশীর ভাগ স্কুলের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র আর তার ওপর ময়লার আস্তর পড়ে আছে। আর এসব পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাসহ স্টাফদের। শ্রেনীকক্ষগুলো পাঠদান করার উপযোগী করার জন্য সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজে ব্যস্ত। করোনা মহামারীতে শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও তা পুষিয়ে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্ষা মৌসুমের কারণে কিছু কিছু স্কুলের অবকাঠামোর ক্ষতি হলেও সেগুলো মেরামত করতে দেখা যায়্ সবমিলে এক নতুন দিনের অপেক্ষায় স্কুল সংশ্লিষ্ট সবাই।
উপজেলার মডেল প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোহেলী খাতুন বলেন, আমরা এখন স্কুল খোলার অপেক্ষায় আছি। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। স্কুল খোলা মাত্রই শিশুদের পাঠদানে মনোযোগ দিব।
মৌকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মার্জিয়া খাতুনের অভিভাবক বলেন, স্কুল খোলার খবরে আমরা খুব খুশি। করোনার কারণে আমার বাচ্চার পড়াশুনার ক্ষতি হলেও আশা করি আবার স্কুল খোলার মাধ্যমে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
ব্রহ্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া জানান, বাড়ি বসে থাকতে আর ভাল লাগে না । স্কুল খোলার খবর শুনে খুশি লাগছে। আমরা আবার স্কুলে যেতে পারবো পড়তে ও খেলতে পারবো খুব ভালো লাগছে।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে আমরা ইতিমধ্যে স্কুলে আসা শুরু করেছি। স্কুলের পাঠদান কক্ষ উপযোগী করা থেকে শুরু করে সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা দরকার সেই সব কাজ নিয়ে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি।
আরও পড়ুন : বাঘাইছড়িতে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, স্কুল খোলার সংবাদে আমরা খুব খুশি তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আশা করি সবাই সরকারি নির্দেশনা মেনে স্কুল পরিচালনা করবে।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড